শিমুল হাছান:
ফরিদগঞ্জে রাতের আধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে বসত ঘর ও দোকান পুঁড়ে পথে বসেছে অসহায় পরিবার। ৮ এপ্রিল (বুধবার) গবীর রাতে উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের নারিকেলতলা কালি গাছতলের পাশে নোয়া বাড়ীর নুরজাহান বেগমের বসত ঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নুরজাহান বেগম বলেন, রাত প্রায় ১০ টার সময় অসুস্থ ছেলে বাবুল (৫৫) কে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুমাতে রেখে আমি ঘরের দরজার কাছেই ঘুমাই ছিলাম। ঠিক কিছুক্ষন পর ছেলে ডাক চিৎকার করলে উঠে দেখি আমার ঘরের দরজায় কারা যেন বাহির থেকে সিকল লাগাই রাখছে, আই ঘরের বিত্বেত্তন আতুরা দি বাড়িয়াই দুয়ারের লগের্তন টিন হাক করি বাইরই দেহি আর ঘরে কারা আগুন লাগাই দিছেরে বাবা, আই অন এই অসুস্থ বুড়া হোলা লই কোনাই থাইক্কাম কি খাইয়াম আর সব শেষ ওই গেছে। কেমন ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে নুরজাহান বলেন, আমি মাইনষের বাড়িত্তন খুজি বিছারি আনি, ঘরের বিত্তে কিছুর অভাব ছিল নারে বাবা। ৪ থেকে ৫ মোন চাইল এ আছিল আর ষোল সতের হাজার টাকা আছিল, কিনা আছিল কি কইতাম কিইছুর অভাব আছিল না ঘরের বিত্তে। মাইনষেরতন আনিএত এই ঘর কইছি। এসময় তিনি বিলাপ দিয়ে চিৎকার করে বলেন, আল্লা গো আন্নে আরে এই স্বাস্তি কল্লাই দিলেন, এই স্বাস্তি দেয়নের আগে আরে কিলাই লই গেলেন না, আই তো কোন দিন কেও আর কাছে আইলে আই খালি আতে হিরাইন। তিনি আরো বলেন, নুরজাহান বেগমের ছোট ছেলে দুলাল ঘরের সামনে একটি ছোট দোকান ছিল। এই দোকানে দোকানকরেই চলতো দুলালের সংসার।
প্রতিবেশি মো. খলিলুর রহমান জানান, রাত্রে আমি বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম। গভীর রাতে আগুন লাগার চিৎকারের সংবাদ পেয়ে এসে দেখি ঘরের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এলাকা বাসির প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলে ও কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লিটন ও মামুন পাঃ জানান, কি কারনে আগুন রেগেছে আমাদের যানা নেই। তবে কেউ যদি আগুন লাগিয়ে থাকে, তাহলে তদন্তন সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।