কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়ার দক্ষিন বিতারা গ্রামে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে এক বিধবার ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিতারা গ্রামের বিধবা আয়েশা বেগমের বসতঘরে এ অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে নগদ ২০ হাজার টাকা,আসবাবপত্র ও স্বর্নালঙ্কারসহ প্রায় ২লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবি করছেন। পাশাপাশি এ অগ্নিকান্ডকে কেউ পূর্ব শত্রুতা বশত করেছেন বলে ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবার ও এলাকাবাসী দাবি করছেন।
গৃহকর্তী আয়েশা বেগম জানান, আমি আমার ছেলে মোফাজ্জল হোসেনের সাথে বসবাস করি। আমার স্বামী প্রায় ১৮বছর আগে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার আমি আমার অপর ছেলে তাফাজ্জল হোসেনের বাসায় চট্টগ্রামে ছিলাম। রাতে ঘর পুড়ার সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকালে বাড়িতে আসি। গত ১সপ্তাহ পূর্বেও আমার অপর ছেলে তাফাজ্জল হোসেনের ঘরে কে বা কাহারা আগুন দিয়ে আংশিক পুড়ে দেয়। তিনি দাবী করে বলেন, একই বাড়ির আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় অধিবাসী আবু ইউসুফ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকান্ডের সময় আমি ও আমার স্ত্রী আব্দুল মজিদকে ওই বিধবার ঘরের পাশ দিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পালাতে দেখেছি।
এলাকার স্থানীয় অধিবাসী কাউছার আলম রুবেল,আনোয়ার হোসেন,আবু তাহের,হান্নান মৃধা অনেকে বলেন, বছর খানেক পূর্বে ওই বিধবাকে নানান ভাবে হয়রানির কারনে স্থানীয় ভাবে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে সালিশ দরবার হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুল মজিদ হয়তবা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে জোড় দাবি করেন তারা। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আব্দুল মজিদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছি তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার তাদের বসতঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এলাকাবাসী ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুছ মুন্সী জানান, বিধবার ঘরে পরপর দু’বার অগ্নিকান্ডের বিষয়টি রহস্যজনক। তবে স্থানীয়রা আমাকে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জানিয়েছেন।