গাজী মমিন :
পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে দীর্ঘদিন থেকে দোকান ঘরেই বসববাস করে আসছে একটি অসহায় পরিবার। প্রতিপক্ষের দেয়া একাধিক মামলা হামলায় জর্জরিত এ পরিবারটি সুবিচার পেতে বিভিন্ন মহলে ধর্না দিয়েও প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের ক্ষমতার দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ১৪ নং ইউনিয়নের চরবড়ালী গ্রামে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, উপজেলা চরবড়ালী গ্রামের মুকবুল আহাম্মেদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তির ভোগদখলকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের অজিউল্লা কালুর সাথে চরম আকারে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই পরস্পর বিরোধী মামলা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে স্থানীয় ভাবে বৈঠক হলেও প্রতিপক্ষের ক্ষমতার দাপটে কোন সুরাহা না হওয়ায় অসহায় মুকবুল আহাম্মেদের পরিবারের মধ্যে বর্তমানে এক অজানা আতংক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখ্ াযায়, রাস্তার পার্শ্বেই একটি দোকান ঘরে সুজনের বাবা ও মা প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র নিয়ে বসবাস করছে। দোকানের চারিদেকে টিনের বেড়া রয়েছে। দোকান ঘরটি পাশেই একটি পাকা ঘর ও ব্যবহারের জন্য রয়েছে একটি টয়লেট। যে কোন মুহুর্তে প্রতিপক্ষের লোকজন এই দোকান ঘর দখল করতে পারে এমন আশংকায় অসহায় মুকবুলের পরিবারটি নিজের বাড়ি থেকে এখন দোকান ঘরেই রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছে বলে এ পরিবারটি দাবী করছে। উক্ত বিষয়ে বক্তব্য নিতে অজিউল্লার কালুর সাথে কথা বলতে না দিয়ে তারই এক মেয়ে নুরজাহান মুঠোফোনে জানায়, মুকবুল আহাম্মেদ ও তার ছেলে সুজন আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলা দিয়েছে। তিনটি মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে মুকবুল আহাম্মেদ ও তার ছেলে সুজন জানায়, আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অজিউল্লা কালু ছাড়া তার ২ মেয়েকে বাদী করে নারী নির্যাতন মামলা সহ আমাদের বিরুদ্ধে মোট ৮টি মামলা দিয়েছে। শান্তির স্বার্থে দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসার উদ্যেগ নেয়া হলেও অজিউল্লার পরিবারের সদস্যরা মীমাংসায় না এসেই শুধু আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো ও মিথ্যা মামলা দিয়েই আসছে।