কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওয়ালী উল্যাহ অলি’র প্রত্যাহারের দাবীতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় তার নিজ কার্যালয়ে কচুয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেও উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে কচুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম দাবী করেন, গত ৭ জানুয়ারী বুধবার রাতে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের দোঘর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারি যে, পারিবারিক একটি বিষয়ের কারণে তার দোকান বন্ধসহ নানান সমস্যা চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অবস্থানরত সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরাজমান সমস্যার কারণে মারামারির সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি আমার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে থাকায় ওই সময়ে কচুয়া থানার ওসি মহোদয়কে ফোন করে পুলিশ পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানাই এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম লালুকে বিষয়টি অবগত করি। এছাড়া এলাকার উপস্থিত গন্যমান্য লোকদেকে ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করে স্থান ত্যাগ করি। ঘটনার পরের দিন লোকমুখে জানতে পাড়ি যে, উল্লেখিত ঘটনায় কচুয়া থানায় আমাকে ২নং আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আমি ওসি সাহেবকে ফোন করি। তিনি মামলার সত্যতা স্বীকার করে এবং আমাকে আসামী করা হয়েছে মর্মে জানান (মামলা নং ০৩)। আমাকে আসামী করার বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে ফোনে কথা হয়। মামলায় এজাহার সম্পর্কে বাদী মো. শরীফুল ইসলাম,ইউপি চেয়ারম্যান ও আমার কিছু লোকজনকে জানান যে, তিনি বাদী (শরীফুল ইসলাম) মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান। মূলতঃ বাদীর কথপোকথনের ফোন রেকর্ড পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, ওসি তাঁর ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্বারের জন্য কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যোগসাজসে বাদীর অভিযোগকে এজাহার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন।
আমি বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ওসি কর্তৃক আমার সম্মান হানীর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের (সাংবাদিকদের) অবগত করছি। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, পুলিশকে সংবাদ দিয়ে আমি ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও যদি মামলার আসামী হতে হয়, তাহলে সাধারণ জনগণের কী অবস্থা হবে। তিনি আরো প্রশ্ন উত্থাপন করেন- ৮ জানুয়ারী অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কোন রকম তদন্ত ছাড়াই একই দিন দুপুরের মধ্যে কী ভাবে মামলা রুজু করে চাঁদপুরে প্রেরণ করেন।
আমি জনগণের স্বার্থে অতি দ্রুত বর্তমান ওসি প্রত্যাহার দাবী করছি। অন্যথায় জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম পরিচালনা করবো। এ ব্যাপারে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওয়ালী উল্যাহ অলি বলেন, বাদী যে ভাবে এজাহার দিয়েছে সে ভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com