হাজীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলির উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্র ভঙ্গ করতে এক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি গ্রুপের সাথে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত খোকন বলিকে প্রথমে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ইসলামিয়া মডার্ণ হাসপাতালে পরে পুলিশের গাড়ীতে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় বাজারে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় ব্যস্ততম সড়ক কুমিল্লা-চাঁদপুর ও রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর সড়কে সকল যান চলা চল। প্রায় ১ ঘন্টা সড়ক অবরোধ থাকে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আবদুর রশিদসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ খোকন বলি গ্রুপকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় বাজারে মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়। এ ছাড়াও হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ গাউছিয়া হাইওয়ে হোটেলের গ্লাস ভাংচুর করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জীবন কাজী জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলির উপর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বির লোকজন হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে।
পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি মুঠো ফোনে জানান, আমার গ্রুপের ছেলেদেরকে খোকন বলির লোকজন আগে মারধর করেছিল এ ঘটনায় সন্ধ্যায় খোকনের সাথে কথা কাটা-কাটি হয়। তার সূত্রধরে খোকন বলির লোকজন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করে এবং আমার গাড়ী ভাঙ্গে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছাত্রভঙ্গ করতে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থি এখন অনেক ভালো। বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com