অমরেশ দত্ত জয়ঃ
চাঁদপুর জেলায় ১৩ হাজারেও অধিক অসহায় দুস্থ মহিলা ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চাল/গম পাচ্ছে।আর এসব চাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ত্রাণ তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দেওয়া হয়।
১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের এক তথ্যে দেখা যায়,জেলায় চাঁদপুর সদরের ১ হাজার ৬'শ ২৮ জন,হাজীগঞ্জে ১ হাজার ৭'শ ১জন,কচুয়ায় ১ হাজার ৮'শ ৩০জন,শাহারাস্থিতে ১ হাজার ৬'শ ১ জন,মতলব দক্ষিণে ১ হাজার ৭'শ ৬৯জন,মতলব উত্তরে ১ হাজার ৬'শ ৭৩ জন,ফরিদগঞ্জে ১ হাজার ৭'শ ৯০জন এবং হাইমচরের ১ হাজার ৮'শ ২৯ জন সহ মোট ১৩ হাজার ৮'শ ২১ জনকে ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় চাল দেওয়া হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়,খাদ্য শস্য চাঁদপুরের সি.এস.ডি হতে উত্তোলন করতে হয়।পরে ইউনিয়ন পরিষদের ত্রাণ তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্ধারিত তারিখে মাষ্টার রোল করা হয়। এর প্রেক্ষিতেই প্রত্যেক ভিজিডি কার্ডধারীকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই ইউনিয়ন ত্রাণ তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে কোন অবস্থায়ই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা যাবেনা।
আর সেই চাল বিতরণ করে ৭ দিনের মধ্যে মাষ্টাররোলের কপি দপ্তরে জমা দিতে হবে।এ ব্যপারে আরো জানালেন জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার সার্জিয়া আফরিন। তিনি বলেন,২০১৯ সালের জানুয়ারি হতে প্রতি মাসে মাথাপিছু ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
যা ২০২০ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। এক্ষেত্রে জেলায় ১৩ হাজার ৮'শ ২১ জন উপকারভোগী চাল পাচ্ছে।যারা প্রত্যেকে এশিয়া ব্যাংকে নিজ একাউন্টে ২'শ টাকা সঞ্চয়ী জমা দিবে। তিনি আরো জানান,সমাহার,আকাশ ফাউন্ডেশন,অ্যাসিটি মানব উন্নয়ন সংস্থা,রীচ টু আনরীচ,বিকল্প উন্নয়ন কর্মসূচী(বিউক),মালের হাট যুব সংঘ মোট ৬টি এনজিও আমাদের কার্য সম্পাদনে সাহায্য করছে।তারা উপকারভোগীদের বিভিন্ন সভার মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে উদ্বোদ্ধ করে। সেই সাথে এ ব্যপারে সঞ্চয়ী হিসাব ঠিকমতো রাখার মনিটরিংও করে তারা।