অমরেশ দত্ত জয়ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ নামক স্থানে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত চাঁদপুরের ১২ জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।এর মধ্যে ৫ জন নিহত এবং ৭জন আহত হওয়ার খবর বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।১২ নভেম্বর মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের মধ্যে চাঁদপুর সদরের একই পরিবারের ৭জন আহত হয়েছেন।আহতদের স্বজন সূত্রে জানা যায়,১২ নভেম্বর ভোর রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিং করছিলো ২ ট্রেন।সেখানে ওই ২ ট্রেন আন্ত:নগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ডাব্বাগুলি দুমরে মুচবে যায়।এতে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ ঈশানপুরের মঈন উদ্দিনের স্ত্রী কাকলী (২০), হাইমচরের ঈশানপুরের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মরিয়ম বেগম (৬),হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের বেপারী বাড়ীর মৃত আব্দুুল জলিলের ছেলে মজিবুর রহমান (৫০) ও তাঁর স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৪২) এবং সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে ফারজানা আক্তার (২০) সহ মোট ৫ জন নিহত হন।এই নিহতদের মধ্যে ফারজানা ইসলাম শহরের নাজির পাড়ার দেওয়ান বাড়ীর মোহন দেওয়ানের স্ত্রী এ ছাড়াও আহতরা হলেন, নিহত ফারজানার মা বেবী বেগম (৪০), ভাই হাসান বেপারী (২৮),নানী ফিরোজা বেগম (৭০), ফারজানার মামি শাহিদা বেগম (৪০), মামাত বোন মিতু (১৭), ইলমা (৭) ও মামত ভাই জুবায়ের(৩)।একটি সূত্র জানায় দুর্ঘটনায় নিহত ফারজানার দাফনের প্রস্তুতি চলছে।অন্যদিকে হাজীগঞ্জের নিহত মজিবুর রহমান ও কুলসুমা বেগম এর মরদেহ বাড়িতে আনার জন্য চাঁদপুর থেকে তার স্বজনরা ব্রাহ্মন বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ান হয়েছেন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো চাঁদপুরের বিভিন্ন মহল জুড়ে এক শোকাহত অবস্থা বিরাজ করছে।