• শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন

ডাকাতিয়া পরিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্বারকলিপি

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯

গাজী মমিন:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের ডাকাতিয়া নদীতে দীর্ঘ দিনে জ্যাম লেগে থাকা কচুরিপানা পচে গলে মরছে মাছ, দুষিত হচ্ছে নদীর পানি। মৎস্যচাষী ও বিপুল সংখ্যক গনমানুষের স্বার্থে এই কচুরিপাানা পরিষ্কারের দাবিতে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহন করার জন্য রোববার উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র মাহফুজুল হকের কাছে স্বারক লিপি দেয়া হয়েছে।

ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদী – মাছ-পানি- ও পরিবেশ রক্ষা কল্পে গঠিত সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে উক্ত কর্মসূচীতে দিনমজুর মৎস্যচাষী ও এলাকার ভুক্তভোগীরা অংশ গ্রহন করেছে। ওই দাবিতে উপজেলার সদরে ওনূআ স্মৃতি সংসদ পাঠাগার চত্বরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গনমানুষের ওই দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের (মার্কবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল ও মেয়র মাহফুজুল হক।

সংগ্রাম কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নুর স্বাক্ষরিত স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চাঁদপুর- ফরিদগঞ্জ রায়পুর এই তিন উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর প্রায় ৮০ ভাগই এক সময়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার আর্শীবাদ হলেও তা এখন জ্যাম লেগে থাকা কচুরিপানার জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে।

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বাঁধের কারনে প্রাকৃতিক জোয়ার ভাটা না থাকায় নদীতে প্রতি বছর কচুরিপানা জ্যাম লেগে থাকে। এক পর্যায়ে কচুরিপানা পচে গলে মাছ মরে যাচ্ছে, দুষন হয় পানি ও পরিবেশের। ফলে নদীর দুই তীরে থাকা দিন মজুর হাজার হাজার মৎস্যজীবি কর্মহীন হয়ে পড়ছ্ ে। তখন অর্ধাহারে অনাহারে মৎজীবিদের দিনানিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন।

অথচ এই নদীটিতে ৩০/৩২ প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হতো। স্বারকলিপিতে আরো উল্লেথ করা হয়েছে যে, প্রতি বছরই মৎস্যজীবিরা স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় স্বেচ্ছা ম্রমের বিনিময়ে ডাকাতিয়া নদীর কচুরিপানা সাধ্যনুযায়ী পরিষ্কারের চেষ্টা করে। কিন্তু পাশবতী হাইমচর উপজেলায় ‘ হাজীমারা স্লুইচগেইট বন্ধ থাকলে তাও সম্ভব হয়না। কারন স্লুইচ গেইট খোলা না থাকলে তখন নদীতে স্রোত থাকে না।

আর স্্েরাত না থাকলে কচুরিপানা ওই গেইটের কাছে নেয়া যায় না। বাস্তবে এই সমস্য সমাধান হতে পারে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যেগে একটি স্থায়ী প্রকল্প গ্রহন করে নদীর দুই তীরে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার জন্য জোড়ালো দাবী জানানো হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…