সফিকুল ইসলাম রিংকু:
মতলব দক্ষিন উপজেলার নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে জোর পুর্বক ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য, এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপরে লেগেছে। সরজমিনে জানাযায় ১৭ সেপ্টেম্ভর মধ্যান্ন্য বিরতির সময় বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিন পাশে দাড়িয়ে কথা বলছিল ওই ছাত্রী ও তার বান্ধবীরা। এ সময় ইফরান ওই ছাত্রীকে কথা বলার জন্য ডেকে নেয়, কিছুক্ষণ কথা বলার পর, ইরফানের সঙ্গে থাকা ইমন, শামিম ও বিপ্লব তাকে টেনেহেচরে স্কুলের পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে মুখে চাপা দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায় ওই চার যুবক । তখন তার বান্ধবীদের ডাক চিৎকারে ছাত্র ছাত্রীরা ছুটে এলে, ঐ চারজন পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ী বরিশালে নায়েরগাঁও বাজারে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে। মেয়েটির পিতা চাঁন্দু মিয়া সমিলের একজন মিস্তির কাজ করেন। ধর্ষনের বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ন কবিরের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রী, অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে মেয়ের মাকে বলেন, পারিবারিক ভাবে বসে বিষয়টি যেনো শেষ করে, তা নাহলে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হবে। এ বিষয়ে ছাত্রীর পিতা চাঁন্দু মিয়া বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলামনা, খবর পেয়ে ছুটে আসি এবং প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি বলেন বিষয়টি পারিবারিক ভাবে সমাধান করতে। তিনি আরো বলেন এলাকার অভিযুক্ত ইমনের নানা (সিরাজ মাষ্টার) আমার বাসায় এসে নানান ধরনের কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি অপরাধীদের উপযুক্ত বিচার চাই। আমার মেয়ের সাথে যা ঘটেছে তা যেনো অন্য কারো মেয়ের সাথে না ঘটে। এলাকাবাসী ও অভিবাবকরা ক্ষোভের সাথে বলেন দিনে দুপুরে বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটলে ছাত্র ছাত্রীরা কি শিক্ষা পাবে এবং তাদের নিরাপত্তা কে দেবে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিরব ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা। ধর্ষনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তবে এটি ধর্ষন না ইফটিজিং। তাই আমি পারিবারিক ভাবে সমাধান করতে বলেছি।