মো. শিমুল হাছান :
ওরা একই মায়ের পেটের দুই ভাই । একজনের নাম আবদুল হাকিম আরেক একজনের নাম আবদুল হাদি। এই দু ভাইয়ের মধ্যে পৈত্রিক জায়গার মালিকানার ভোগদখল নিয়ে চলছে দীর্ঘ দিনের দ্বন্ধ। এই দ্বন্ধের জের হিসেবে এক ভাইয়ের পরিবারের চলচালের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে তিনটি বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জের ভোটাল গ্রামে । এতে করে আবদুল হাকিমের পরিবারটি গত একমাস ধরে এক রকম অবরুদ্ধ হয়ে আছে বলে মনে করছে ।
ভুুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোটাল গ্রামের আলহাজ¦ ইদ্রিছ মিয়ার ৭ ছেলে ও ১ কণ্যা রয়েছে । ৭ ভাইয়ের মধ্যে ওই দুই ভাই পৈত্রিক জায়গায় পাশাপাশি বসত বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছিল। এক পর্যায়ে দুই দুই আবদুল হাকিম ও আবদুল হাদির মধ্যে জায়গার ভোগদখল নিয়ে দ্বন্ধ বাড়তে থাকে । স্থানীয় ভাবে এর সুরাহা না হওয়ায় আবদুল হাকিম সম্প্রতি ফরিদগঞ্জ থানায় তারই ছোট ভাই আবদুল হাদির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবদুল হাকিমের বাড়ি থেকে বের হওয়ার চলাচলের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে প্রায় ২০ ফুট দৈঘ্যে ও ৬ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট তিন স্থানে তিনটি বেড়া । চলাচলের রাস্তায় পাশেই থাকার্ পুকুরে আবদুল হাদি অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা কাজ করছে । চলাচলের রাস্তায় বেড়া থাকায় প্রায় একমাস ধরে আবদুল হাকিমের লোকজন ওই বেড়া ডিংগিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয় । আবদুল হাকিমের জায়গা যেন ধসে পড়ে সে জন্য ড্রেজার লাগানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করছে । অবৈধ ভাবে পুকুরে ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলার খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মমতা আফরিনের হস্তক্ষেপে ওই ড্রেজার তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে সাবেক জনপ্রতিনিধ আবদুল হাই্ ।
এ নিয়ে আবদুল হাকিম তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০০০ সালে স্থানীয় দেনদরববারের মাধ্যমে আমাদের জায়গা সম্পদের ভাগবাটোয়ার মাপঝোপ করে একটি চিটা তৈরী করে উভয় পক্ষের মধ্যে তা মিমাংসা হয়েছিল । কিন্তু আবদুল হাদি হঠাৎ করে ওই মাফজোকের চিটা গোপন রেখে একের পর এক আমার জায়গা তার দাবি করে অহেতুক ঝামেল সৃষ্টি করছে ।
অপরদিকে আবদুল হাকিমের ছোট ভাই সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল হাদি বলেন, আমি পুকুর ঘাটে যেন যেতে না পারি সে জন্য আমার বড় ভাই তা বাইলের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় আমি রাগের বশে তার চলাচলের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছি । তবে এটি ফয়সালার জন্য আমরা অচিরেই বৈঠকে বসছি ।
তবে ওই এলাকারই কয়জন জানায়, ওই পরিবারটি মধ্যে শিক্ষিত লোক ছাড়াও রয়েছে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও ব্যাংকার । বলতে গেলে এই পরিবারে দীর্ঘ দিনের বিরোধের জের হিসেবে তাদের দৃশ্যমান বিতর্কিত কার্যক্রমে মনে হচ্ছে তাদের মধ্যে শিক্ষা থাকলে মূলত রয়েছে সুশিক্ষার অভাব।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com