নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘শোক দিবসের ব্যানারে, হাজীগঞ্জে নওহাটা ফাজিল মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি না থাকায় মাদরাসা পরিদর্শনে গেলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। রবিবার দুপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এ মাদরাসা পরিদর্শন করেন। জানা গেছে, স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে মাদরাসায় পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সূর্ণিমল দেউড়ী ও সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মাদরাসা পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রতিনিধি দল প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু যোফর মো. আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সূর্ণিমল দেউড়ী বলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে, প্রকাশিত সংবাদের তথ্যগুলোর কারন ও ব্যাক্ষা জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের উল্লেখিত বিষয়গুলোর জবাব দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ১৫ আগ্ষ্ট উপজেলাধীন কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনে ব্যবহৃত ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই। এমনকি ব্যানারে জাতির জনকের নামটি পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি। দিবসটি পালনে যে ব্যানারটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেই ব্যানারটি ছিল ৪১তম শাহদাৎবার্ষিকীর ব্যানার। যেখানে ‘৪১’ এর ১ কে ৪ বানিয়ে ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে ব্যবহার করা হয়েছে। শোক পালনে উপস্থিত ছিলেন না, মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু যোফর মো. আবু বকর সিদ্দিক ও উপাধ্যক্ষ মাও. নুরুল আমিন। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নওহাটা ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের ব্যানারে এই ব্যবহার করতে দেখা যায়। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন, সহকারি অধ্যাপক হযরত আলী। এ ছাড়াও । সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি থাকাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও (ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন ছাড়া) অফিস কার্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এ সময়ে রোষ্টার অনুযায়ী একজন করে শিক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন। অথচ এ ক্ষেত্রেও মাদরাসাটি সরকারি নির্দেশনা মানে নি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে এই ব্যানারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যা স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com