• মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

হাজীগঞ্জে পালিশারা সপ্রাবিতে চিহ্নিত শিবির ক্যাডারকে অতিথি করে ১৫ই আগষ্ট পালন

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯

হাবিবুর রহমান (হাবিব)ঃ জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগষ্ট এইদিনে বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ সন্তান সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী জাতীয় শোকদিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবছর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ দিবস পালন করার জন্য সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচি দেওয়া হয়। এই উপলক্ষে হাজিগঞ্জ উপজেলার পালিশারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিহ্নিত শিবির ক্যাডার কাজি সুফিয়ান সুমন কে বিশেষ অতিথি করে গত বৃহস্পতিবার শোক দিবস পালনের নামে প্রহসনের কর্মসূচি পালন করা হয়। ব্যানারে শোক লেখা থাকলেও বাস্তবে দৃশপট ছিল হাস্যকর, যেখানে ছবিতে সবাই কে হাস্যজ্জল মুখে দেখা যায়। এবং তাকে অতিথি হিসাবে দেখে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে হাসাহাসি করতে করতে শুরু করে ও ক্ষোব প্রকাশ পায়। এব্যাপারে পালিশারা ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আঃ খালেক মিজি বলেন আমি শুনেছি এবং ছবিতে দেখেছি প্রধান শিক্ষক লেয়াকত আলী কাজি সুমনকে বিশেষ অতিথি করে ১৫ই আগষ্ট পালন করেন, কাজি সুমন শিবির ক্যাডার এটা সবাই জানে এবং আমাদের দলীয় নেতা কর্মিরা তার দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। গত ৩০শে ডিসেম্বর এর জাতীয় নির্বাচনে পালিশারা কেন্দ্রে মারামারি , অস্ত্রের মহড়া , এবং হুমকি , মারামারির নেপত্য নায়ক এই কাজি সুমনকে কিভাবে ১৫ই আগষ্টের মত প্রোগ্রামে অতিথি করা হয়। আমরা এর বিচার চাই। প্রধান শিক্ষক লেয়াকত আলী কোন প্রোগামেই আমাদের কে জানান না দাওয়াত ও দেয়না এটাকে তিনি জামায়াত শিবিরের আতুরঘরে রুপান্তর করেছেন। ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো ঃ সোহেল এবং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এনাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান প্রধান শিক্ষক লেয়াকত আলী কোন প্রোগামেই আমাদের কে জানান না দাওয়াত ও দেয়না। তাঁরা আরো জানান জামায়াত শিবির ক্যাডার কাজি সুমন কেন্দ্রীয় শিবির নেতা এই এলাকায় তার নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে রাজত্ব কায়েম করে চলছে এবং এখান থেকে সে হাজিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিনাঞ্চল নিয়ন্ত্রন করে। আমরা গত নির্বাচনে তার দাপটে কোন কথা বলতে পারিনি। সে এলাকায় আসলে গোপন মিটিং এবং জঙ্গি ততপরতা চালানোর লক্ষন দেখতে পাই কারন এই গ্রামে অচেনা নতুন লোকজনের আগমন ঘটে যাদের কে আমরা অন্য সময় এ এলাকায় দেখিনা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি শিবির ক্যাডার কাজি সুমন কে দিয়ে মোনাজাত পরিচালনা করানো হয়। এলাকাবাসী এব্যাপারে খুব ক্ষিপ্ত। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে তার মুঠোফোনে (০১৮১৬১৬৫০৭৩) কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিব করেননি। এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো ঃ খোরশেদ আলম মারওয়ান জানান, আমি এব্যাপারে কিছুই জানিনা বলে দায় এড়িয়ে গিয়ে বলেন আমি বিষয়টি জেনে আপনাকে জানাবো। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গির আলম বুলবুল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক ঠিক করেননি, শিবির ক্যাডার কে তিনি অতিথি করতে পারেননা, এটা নিয়ম নেই, আমি এ. টি. ও. কে দিয়ে প্রধান শিক্ষক কে ডেকে এনে ব্যবস্থা নিব।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…