স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুর সদরের উত্তর কামরাঙ্গার ফাতেমা বেগম হত্যায় জড়িত আসামীদের দ্রুত বিচার চেয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।২৮ জুলাই রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করে খুন হওয়া ফাতেমার অসহায় পরিবার।
মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের ফাতেমার স্বামী মোঃ দুলাল খান জানান,আমার স্ত্রী ফাতেমাকে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জমি সংক্রান্ত জেরে হত্যা করা হয়।যা ওই সময়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হলেও আমরা আইনের আশ্রয় নেই এবং থানায় মামলা করি।
তখন মামলার প্রধান আসামী জাহানারাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।কিন্তু মামলার অন্যান্য আসামী বশিরুল্লা খান,আলমগীর গাজী ও মানিক মুন্সীকে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও গ্রেফতার করা হয়নি।আর এমন চাঞ্চল্যকর হত্যার কোনরূপ বিচার না পাওয়ায় আমরা হতাশ।তিনি ঘটনার বিবরণে সাংবাদিকদের জানান,২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জাহানারা সহ এই ফাতেমা হত্যা মামলার অন্যান্য আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১'শ ও ৫০ টাকার ২টি স্ট্যাম্প ক্রয় করে।
সেখানে আমার ঘর,ভিটি ও পুকুরের মোট ৩ শতক জায়গা ৭৫ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়েছে।ঠিক এই মর্মে আমাকে হত্যার হুমকি দেখিয়ে জোর পূর্বক সই নেই।এরপর আসামীরা আমাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে।কিন্তু আমরা বাড়ি ছেড়ে না যাওয়ায় সেই হুমকির পর ওই ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী ফাতেমার লাশ পাই।তখন ওই ষড়যন্ত্রমূলক হত্যার বিচারের দাবীতে আমরা থানায় মামলা করি।মৃত ফাতেমার বড় মেয়ে সুমাইয়া জানান,আমার মায়ের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা থানায় মামলা করি।ওই হত্যা মামলা তুলে নিতে বর্তমানে মামলার আসামী জাহানারার মেয়ে মায়া ও মায়ার স্বামী সোবহান আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
তারা মামলা তুলে না নিলে আমাদেরকে একেবারে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও ভয় দেখাচ্ছে।তাই আমরা পুলিশের কাছে আমাদের জিবনের নিরাপত্তা চাইছি।সেই সাথে মামলার আসামীদের দ্রুত বিচারের জন্য আদালত ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি।মৃত ফাতেমার ছোট মেয়ে ইভা ও ছেলে সিয়াম জানায়,মায়ের হত্যাকারী আসামী জাহানারাকে যাতে আদালত জামিন না দেয়।সেই সাথে আদালত ও প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।যাতে আমাদের মা ফাতেমা বেগম হত্যার অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি ও আমাদের জিবনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com