মো. শিমুল হাছান.
ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর উদারতার বিরল দৃষ্টান্ত দেখালেন জয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। যা ইতিপূর্বে ফরিদগঞ্জে তেমন একটা দেখা যেত না। এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একজন হলেন সাবেক ছাত্রলীগ ও যুব লীগের আহ্বায়ক ও জনপ্রিয় সাবেক নুরু চেয়ারম্যান-এর ছেলে আলমগীর হোসেন রিপন, অপরজন হলেন সাইফুল আলম সোহেল খান।
এরা দুজনই ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু ওই নির্বাচনে সাইফুল আলম সোহেল খানকে পরাজিত করে আলমগীর হোসেন রিপন বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আলমগীর হোসেন রিপন তার প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী সাইফুল আলম সোহেল খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন তার বাড়িতে। এই দুই প্রার্থীর সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাৎ দেখে উপস্থিত সবার মধ্যেই ওই দুইজনের উদারতার বিষয়টি প্রশংসিত হয়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় আলমগীর হোসেন রিপন এর গ্রামের নাম পূর্ব বড়ালী ও সাইফুল আলম সোহেল খান এর গ্রামের নাম গজারিয়া। পাশাপাশি দুই গ্রামের এই দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলেও মূলত ও এলাকায় গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন সাবেক নুরু চেয়ারম্যান এর সুনাম এর সক্ষমতা। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সোহেল খান (নৌকা) মার্কা কে পরাজিত করে আলমগীর হোসেন রিপন (আনারস) মার্কা নির্বাচিত হয়েছেন ।
নির্বাচনের পরদিন শুক্রবার দুপুরে আলমগীর হোসেন রিপন ছুটে যান সাইফুল আলম সোহেল খান এর বাড়িতে। এ সময় সাইফুল আলম সোহেল খান ও আলমগীর হোসেন রিপন দু'জনই কোলাকুলি করে একে অপরকে মিস্টি খাওয়ান। একে অপরের সাথে খোশগল্পে মত্ত হন। দুজনের কুশলাদি বিনিময়ের দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হন।
সাইফুল আলম সোহেল খান বলেন, আমরা দু'জনই ইউনিয়নের পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। আমরাতো ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করেছি। তাই আমি মনে করি, যে কোনো নির্বাচন হলো খেলার মাঠ। খেলার মাঠে একজন হারে আরেকজন জিতে এটাই স্বাভাবিক। অপরদিকে বিজয়ী আলমগীর হোসেন রিপন বলেন, সাইফুল আলম সোহেল খান আমার ভাই হিসেবেই মনে করি। বলতে গেলে আমরা দুজনেই একই এলাকার ছেলে। এখন থেকে সাইফুল আলম সোহেল খান এর সাথে আমার সম্পর্ক আরো মধুর হবে।
এবং দীর্ঘ দিন ধরে সাইফুল আলম সোহেল খান ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মেম্বার ও পেনেল চেয়ারম্যান হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন তাই আমি আশা করি ভবিষ্যতেও আমাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য সহযোগিতা করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com