মনিরুল ইসলাম মনির :
‘ছেলে ধরা’ আতঙ্কের আরেক নাম। দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় মতলব উত্তর উপজেলায় পরেছে এর প্রভাব। তাতেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নিজের শিশু সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে যেন নিরাপদ মনে করছে না স্বজনরা। ছুটি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ের গেইটে পাহাড়া দিতে দেখা যাচ্ছে অনেক আতঙ্কগ্রস্ত বাবা-মাকে।
অন্যদিকে, অপরিচিত কাউকে দেখলে ভয় ভীত দেখা দেয় গ্রামগুলোতে। তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসন। তাই মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ছেলে ধরা গুজবে কান না দিতে করা হচ্ছে মাইকিং।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইউনিয়নের প্রতিটি বাজার, স্কুল, গ্রামে গ্রামে ছেলে ধরা গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অবগত করার লক্ষ্যে মাইকিং করা হয়।
এ ব্যাপারে ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ বলেছেন, ছেলে ধরা শব্দটি গুজব। কিছু স্বার্থনেষী মহল এ গুজব ছড়াচ্ছে। মতলব উত্তর উপজেলায় এখনো পর্যন্ত অনাকাঙ্খিত এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে পরার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা প্রভাব পরেছে।
তাই ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অবগত করা হচ্ছে। উত্তেজিত হয়ে আইন হাতে তুলে নিতে মানা করা হচ্ছে। সন্দেহজনক কিছু মনে হলে পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর জন্য বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে এ গুজব আর থাকবে না। এছাড়া ছেলে ধরা গুজবকে কেন্দ্র করে এখনো পর্যন্ত অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ছেলে ধরা গুজবে কান না দিতে মাইকিংয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে। তবুও সন্তানের নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট সচ্ছার রয়েছে স্বজনরা বলে জানালেন স্থানীয় অভিভাবকরা। তারা বলছেন, যতদিন ছেলে ধরা গুজব থাকবে, ততদিন মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করবেই।