নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ফরিদগঞ্জের একটি প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি অবশেষে পন্ড করতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকরা। দলের দীর্ঘ দিনের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের না জানিয়ে বিএনপির এমন সভার পক্ষে বিপক্ষে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে আয়োজকরা ওই মতবিনিময় সভাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। বিএনপির বর্তমানে লেজে-গোবরে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সভাটি শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি চলতে থাকে দু‘গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ফলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সভাটি স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশিদ মুঠোফোনে জানান, ফরিদগঞ্জের বিএনপিকে আমি সু-সংগঠিত করে রেখেছি। শনিবার জেলা সাংগঠনিক টিমের আয়োজিত সভাটিতে মূলতঃ বিএনপির ত্যাগী নেতাদের উপযুক্ত সম্মান না দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা ক্ষুর্দ হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সভাটি স্থগিত করে দেয় আয়োজকরা। আমি দীর্ঘদিন মামলা –হামলা থেকে নেতা-কর্মীদের সকল ধরণের সহযোগীতা ও আশ্রয় দিয়ে সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছি। তাই এখনও ফরিদগঞ্জে কোন ধরণের বিশৃংখলা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। প্রকৃত নেতা-কর্মীদের অব-মূল্যায়ণ ভবিষ্যতে সাংগঠনিক অশনি শংকেত বলা চলে।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান দুলাল জানান, উপজেলা বিএনপির একটি সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সেক্রেটারী এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও এ্যলিট পারসনদের নিয়ে। সভা চলাকালিন লায়ন হারুনুর রশিদের লোকজন এসে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চাইলে সভাটি স্থগিত করে দেওয়া হয়।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মফু জানান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক টিমের যুগ্ন আহবায়ক ও ফরিদগঞ্জ থানার সাংগঠনিক আহবায়ক এড. সেলিমুছ সালাম,মুনির চৌধুরী ,বাবর ,জলিল ও কামালসহ ৮/১০ জনের একটি টিম এসেছে কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তুতি সভা করতে। সভায় বিধি মোতাবেক ইউনিয়ন সভাপতি ও সেক্রেটারীদের শুধুমাত্র থাকার কথা। কিন্তু সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশিদ প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ১০/১৫জন করে ক্ষেত মজুর এনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চাইলে জেলা নেতৃবৃন্দ সভাটি স্থগিত করে চলে যান। তাছাড়া ওনারা জেলা কমিটির নিকট এ বিষয়ে রিপোর্ট করবেন বলে জানাযায়।
অপর গ্রুপের নেতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি এম.এ হান্নানকে একাধিকবার মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে চেয়ে ফোন দিলে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, বিএনপির দু‘গ্রুপের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এতে পরিস্থিতি আশংকাজন দেখে সভাপটি বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করি। তাছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায়ে রাখতে বলা হয়েছে।