বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া ও মলের অস্তিত্ব মিলেছে ঢাকা ওয়াসার পানিতে।
ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে ৪টি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনিঘাট থেকে সংগৃহীত ৮টি স্থানের পানির নমুনায় এসবের অস্তিত্ব পায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য রয়েছে। প্রতিবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আগামী রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
গত ২১ মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট । এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষাতে পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া ও মলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
গতবছর ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাবি এবং আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন- আইসিডিডিআরবি'র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান ও ঢাবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান। গত ২১ মে এ কমিটিকে ওয়াসার পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com