তোফায়েল আহম্মেদ :
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধ্যর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পালিশারা গ্রামের বাজার থেকে শুরু করে দিকচাইল সড়ক পর্যন্ত এবং পালিশারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের থেকে গ্রামে মধ্যে হয়ে মৈশামুড়া সড়ক পর্যন্ত এ দু’টি সড়কের বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
এলাকাবাসী দু’টি সড়ক দিয়ে বিগত দশ বছর যাবত যানবাহনে চড়ে চলাচল করতে পারেনি। এমনকি যে কোন মূমর্ষ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দিতে উপজেলা সদরে নেওয়া চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাস্তা দিয়ে হেটে যেতেই মানুষের কষ্ট হয়। দুটি রাস্তার ২ কিলোমিটার ভাঙা রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রায় হাজারাও পথচারী। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় ছোট খাটো যান চলাচল করায় এ রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়েছে বলেই এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন।
এ দুটি রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়, পালিশারা মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, পালিশারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পালিশারা আর্দশ কিন্ডার গাডেন, পালিশারা নু-রে মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহ বাজার মুখী মানুষগুলো যাতায়াত করে। একাধিক শিক্ষার্থী একসাথে হাটলেই রাস্তার বালু উড়ে গিয়ে তাদের পোষাক ধুলা বালুয়ে নষ্ট হয়ে যায় এবং বৃষ্টির সময় চলাফেরা করলে পা পিচঁলে পড়ে কাদা মাটি দিয়ে পোশাক নষ্ট হলে স্কুলে না গিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসতে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্ন ঘটে।
এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুকে এদুইটি রাস্তার এমন বেহাল দশার দৃশ্য তুলে ধরে বিভিন্ন মতামত ও কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেলেও এ যেন কোন গুরুত্বই দিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে গিয়ে প্রায় পা মচকে বা যানবাহন থেকে পড়ে গিয়ে মারাৎক ভাবে শাররিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সময় এলাকার কিছু যুব সমাজ নিজ উদ্যোগে রাস্তায় সংস্কার ও পানি দিয়ে ধুলা বালু থেকে পথ যাত্রীদেরকে রক্ষা করার চেষ্ঠা করে। এলাকাবাসী অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ রাস্তাগুলো জনপ্রতিনিধিগন মেরামত করে দিবেন বলে ওয়াদা করলেও দীর্ঘ কয়েক বছরেও কোন সংস্কার করা হয়নি।
রাস্তাগুলোতে বড় বড় গর্ত হয়ে মরন ফাঁদে পরিনিত হয়েছে। আমাদের এলাকায় রোধ হলেও সমস্যা আবার বৃষ্টি হলেও সমস্যা। কয়েকদিন খরা (রোদ) থাকলে বালুর জন্য রাস্তা দিয়ে হাটা যায়না। আবার একটু বৃষ্টি হলেই ফেক কাদায়ও হাটা যায়না। আমরা সবময়ই এ সমস্ত দূর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছি।
দেশের এতো উন্নতি হচ্ছে কিন্তু আমাদের এ দূর্ভোগ ও দূর্ধষার কথা কেউ যেন বুঝতে চায়না। অথচ আমাদের কথা কেউ চিন্তাও করেনা। সরকার এ গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে কিন্তু জনস্বার্থে এদুইটি রাস্তা সংস্কার করা অতি জরুলী। আমরা আশা করছি আমাদের মাননীয় এমপি মহোদয় এই এদুইটি রাস্তার সংস্কার কাজ করে দিবেন। আর আমাদেরকে এ দুর্ভোগ থেকে অচিরেই রক্ষা করবেন।
একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ অলি মিজি বলেন, আমাদের এলাকার এ দুটি সড়কই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কগুলোতে খানাখন্দে বেহাল হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ এলাকাবাসী আসা যাওয়া করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। খারাপ রাস্তার কারণে আমরা যানবাহন নিয়ে বাড়ি ঘরে আসা যাওয়া করতে পারছি না। তাই এ রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
পালিশারার তানবির ইসলাম জানান, আমরা নিজ উদ্যোগে প্রায় সময় বন্ধু বান্ধবদেরকে নিয়ে রাস্তায় পানি দিয়েছি। যাতে করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা ধুলা বালু থেকে রক্ষা পায়। এ ধুলা বালুর কারনে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে।
ইউনিয়ন চেয়াম্যান রফিকুল ইসলাম এর সাথে কাথা বললে তিনি জানান, রাস্তা গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষের চলাচল করতে কষ্ঠ হচ্ছে তা জানি। দুটি রাস্তাই সংস্কার কাজের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ করা হবে। এলাকাবাসী স্থানীয় সাংসদ মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। যাতে করে দ্রুত এ রাস্ত গুলো মেরামত করে গ্রামবাসীকে সীমহীন দূর্ভোগ থেকে রক্ষা করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com