গাজী মমিন:
ফরিদগঞ্জে আট বছরের ছেলে শিশু বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাফর আহাম্মদকে বিবাদী করে ফরিদগঞ্জ থানায় শিশুর বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গ্রামে বিচারের আশ^াসে তালবাহানা করা হয়। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ১৬নং (দঃ) ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামে।
সরেজমিন জানাযায়, গত ৪ঠা মে সকাল ১১ টায় বলাৎকারের শিকার শিশু বাড়ির উঠোনে খেলছিলো। এ সময় আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে জাফর বেপারী (২৮) তার ঘরে ডেকে নেয়। এ সময় মুখে গামছা পেচিয়ে জোর পূর্বক জাফর শিশুকে বলাৎকার করে। ঘটনার পর জাফর শিশুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর শিশু নিজ ঘরে যায়। এ সময় মাজায় ব্যথা অনুভব করে এবং যন্ত্রণায় কাঁদতে থাকে। তা দেখে মা জানতে চাইলে শিশু সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে।
শিশুর মা জিজ্ঞাসা করলে অভিযুক্ত জাফর বেপারী মাকে দা নিয়া তেড়ে যায়। অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ করে এবং শিশুকে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং মাকে নির্যাতন করবে বলে হুমকি দেয়। মঙ্গলবার বিকালে শিশুর মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। জাফর বেপারীর ভয়ে থানায় না গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর ৫ই মে লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ করার পর চেয়ারম্যান চৌকিদার মারফত জাফরকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে পাঠায়। এতে জাফর বেপারী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারার জন্য তাড়া করে। এই ঘটনায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। শিশুর মা আরো জানান, এর পূর্বেও জাফর পাশর্^বর্তি বাড়ির অন্য একজন ছেলে শিশুর সাথে একইরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করে। তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত জাফর বেপারীর দাবী, অভিযোগ মিথ্যা। তিনি এমন কাজ করেননি বলেও দাবী করেন। যদিও, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েক ব্যক্তি দাবী করেন, জাফর বেপারীর স্বভাব ভালো না। ঘটনার কিছুক্ষণ পরই শিশুর মা আমাদের জানান এবং শিশুর শারিরীক অবস্থা আমাদের দেখান। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড (সংরক্ষিত) রেনু মেম্বারও শিশুর শারিরীক আলামত দেখেছেন বলে দাবী করেন। তারা বলেন, জাফর বেপারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ রকিব উদ্দিন বলেন, এমনই একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।