প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১১, ২০২৫, ৬:০৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১০, ২০১৯, ৩:১৩ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জে ৪ যুবকের ধর্ষণে কিশোরী সোনিয়া অন্তঃসত্ত্বা
হাবিবুর রহমান হাবিব ॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৪ যুবকের ধর্ষণে কিশোরী সোনিয়া ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের বানিজ্যের কথা শুনা যাচ্ছে। আর কেউ কেউ মেয়ে ও মেয়ের পরিবারকে এলাকা ছাড়ার জন্যও পায়তারা করছে।
সুত্রে যানাযায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিন গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ভিক্ষুক বেগম এর এতিম সন্তান কিশোরী সোনিয়া গত ৮ মাস পূর্বে একই বাড়ীর ৪ যুবকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়। ঐ ঘটনার পর থেকে সোনিয়া বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সোনিয়ার পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, গত ৩ মাস পূর্বে সোনিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তাকে তার মা বেগম হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়। এ খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।
পরর্বতীতে সোনিয়া তার পরিবারকে জানায়, একই বাড়ীর ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২), রফিকের ছেলে ইসমাইল (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন (আমিনুল) (২০)। এ ৪জন মিলে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তাদের ধর্ষনের ফলে বর্তমানে সোনিয়া অন্তঃসত্ত্বা।
কে হবে সোনিয়ার সন্তানের বাবা। এমন অভিযোগে এলাকায় সালিশ বসে। সে সালিশেও সোনিয়া ধর্ষনের কথা খুলে বলেন। কিন্তু ৪ ধর্ষককে বাচাতে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ধর্ষকের পক্ষ নেয়। এতে করে তাদের কিছু টাকা জরিমানাও করা হয়। সে জরিমানার টাকা বর্তমানে ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম এর হাতে।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম জানান, আমরা একটা সমাধানে এসেছি। এটা নিয়ে আপনি ভাড়াভাড়ি করবেন না।
এলাকার প্রভাবশালী সালিশদার মো. মোস্তফা কামাল বিকম জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা এলাকায় সালিশ করেছি। অভিযুক্ত ৪ যুবককে অর্থদন্ড করা হয়েছে। সে অর্থ বর্তমানে ইউপি সদস্য এর কাছে রয়েছে। দু একদিনের মধ্যে মেয়ের হাতে তুলে দেয়া হবে। আর সোনিয়ার পেটের সন্তানের বাবা হবে কে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের প্রক্রিয়ায় যা হবে তাই করা হবে।
সালিশের অন্য সদস্য শেখ ফরিদ সুমন জানান, ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম ও মো. মোস্তফা কামাল বিকম এর কাছে সালিশের জরিমানার টাকা। আমরা মুলত চেয়েছি, যে ৪জন অভিযুক্ত তারা সবাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাই এ ঘটনাটি আমরা এলাকায়ই সমাধান করতে চাচ্ছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, আমি সোনিয়ার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানি। এলাকার একটি পক্ষ আমার কাছে এসেছে। আমি তাদের বলছি তা এলাকায় সমাধান করে নেয়ার জন্য।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনা কোন অভিযোগ পাইনি এবং বর্তমানে আপনার কাছে থেকে জানতে পেরেছি। গত রাতে ঐ ৪ যুবককে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com
Copyright © 2025 Manob khabor. All rights reserved.