ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা :-
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রাহকদের অভিযোগ, আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আর একবার ঝড় হলে বিদ্যুতের দেখা মেলে না কয়েক দিনেও।
এই অবস্থায় দুই উপজেলার বিশেষ করে গ্রাম এলাকার হাজার হাজার গ্রাহক পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কাছে একপ্রকার জিম্মি হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাহরাস্তি উপজেলায় পৌর শহর ব্যাতিত একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসে কয়েক ঘণ্টা পরে। আবার এমনও হয় সারাদিনে দুই তিনবার অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ আসে। কোনো কোনো সময় এক নাগাড়ে কয়েক দিন পর বিদ্যুৎ এলেও তার স্থায়ীত্ব থাকে ১০-১৫ মিনিট। একবার চলে গেলে অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে কয়েকঘণ্টা পরে মেলে বিদ্যুৎ নামের সোনার হরিণের আলোছায়া!
বিদ্যুতের লুকোচুরি ও খামখেয়ালীপনার শিকার হয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের কারণে ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছে না। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চলতি এইচ এস সি পরিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে, ফ্রিজ, টিভি ও আইপিএস সহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক সামগ্রী প্রচুর পরিমানে নষ্ট হচ্ছে। পাশা পাশি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। আর দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ গ্রাম এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ।
হাজীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী জানান, সম্প্রতি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রায়ই টানা লোডশেডিংয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে। বছর জুড়ে ঘোষণা দিয়ে মেইন লাইন মেরামতের অজুহাতে দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। তার পর আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। একটু ঝড়ো হাওয়া হলেই অনেক সময় দুই তিন দিন ধরে একটানা বিদ্যুতের দেখা মেলে না।
শাহরাস্তির সাহেব বাজার এলাকার ষাটোর্ধ মো: আব্দুল সাত্তার বলেন, এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাক মূহুর্ত। সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় যদি বিদ্যুতের খুঁটি বা তার ছিঁড়ে যায়, তাহলে বিদ্যুতের লাইন মেরামতের মানে কি?
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের জি এম মোঃ কেফায়েত উল্যাহর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান আমাদের মূল লাইন চাাঁদপুর হয়ে হাজীগঞ্জ সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে লাইন যাওয়ায় অটো সার্কিট থাকার ফলে একটু ঝড় হলেই গাছের সংস্পর্ষে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যে কারনে আমরা তাৎখনিক সংযোগ দিতে দেরি হয়। তবে এব্যাপারে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি যেন এর প্রতিকার করা যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com