হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় চরবাড়িতে একটি বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় ফল সহ একশটি পেঁপে গাছ কেটে ফেলে। এমনকি ওই খামারের পুকুরে থাকা প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার মাছ বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলে। জান্নাতুল ফেরদাউস (সীমা) ও তার স্বামী কবির হোসেনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই খামারটি দুর্বৃত্তদের কারনে নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে।
ঘটনার বিবরণীতে জান্নাতুল ফেরদাউস ও স্থানীয়রা জানায়, সাত দিন পূর্বে একই বাড়ির খামারের পাশের ঘরের মিসির আলী(৪৫) ও তার জামাতা মো: সুমন মিলে খামারে থাকা একশটিরও অধিক ফল সহ পেঁপে গাছ কেটে দেয়। তাদের ভয়ে গত কয়েকদিন খামারের কাছে যেতে পারেনি জান্নাতুল ফেরদাউস এর পরিবার। শুক্রবার দুপুরে মিসির আলী ও তার মেয়ে লাঠী নিয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস এর পরিবারের উপর হামলা চালায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তারা বেঁচে যায়।
শনিবার দুপুরে বাড়ির কয়েকটি ছোট ছেলেদের কাছ থেকে জানতে পারে ওই পুকুরে মাছ মরে গেছে। অনেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। ওই সময় বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় সেখানে গিয়ে এমন অবস্থা দেখে ভেঙ্গে পড়ে তারা। জান্নাতুল ফেরদাউস আরও জানায়, ওই পুকুরে শিং মাছ, ঘাস কার্প, তেলাপিয়া ও রুই সহ কয়েক প্রজাতির মাছ চাষ হয়েছিলো। পোনা মাছ ক্রয় সহ প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। ১ বছর দুই মাস পর মাছের বর্তমানে আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকারও বেশি হবে। এছাড়াও একটি শেলো মেশিন চুরি করে নিয়ে যায় তারা। এই প্রকল্প বাবদ তার ব্র্যাক ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখায় ৫ লক্ষ টাকার একটি ঋণ নেওয়া আছে বলে জানায় জান্নাতুল ফেরদাউস সীমা।
এক প্রশ্নের জবাবে জান্নাতুল ফেরদাউস জানায়, পাশের বাড়ির মিসির আলী ও তার জামাতা সহ পরিবারের লোকজন এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। কারণ মিসির আলী ওই দিন লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালানোর সময় আমাদের সব ধ্বংস করে দিবে বলে হুমকী দিয়ে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী একই বাড়ির মিল্লাত হোসেন, হাসিনা বেগম, আনোয়ারা, হালিমা, মিরাজ বেগম ও সামছুন নাহার ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন।