চলতি বছরের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আটটি বিভাগে আটটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, সাহারা খাতুন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-দফতর ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এতে বলা হয়, আগামী অক্টোবরে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল সম্মেলনের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করা নেতাদের চিহ্নিত করা, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতির কাজটিও করবে এসব টিম।
বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বনানী অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে গভীর শোক প্রকাশ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডানের প্রতিও গভীর সহমর্মিতা জানান।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত অগ্নি দুর্ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অগ্নি দুর্ঘটনাসহ সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে ভবন মালিক ও ব্যবহারকারীদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাসমূহের কঠোর নজরদারি বাড়ানোসহ জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার বনানী দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাশ্রমী শিক্ষার্থীদের সাহসী ও কার্যকরী ভূমিকার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
এছাড়া সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সারা দেশে দলীয়ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে সারা দেশে সর্বস্তরে সাংগঠনিকভাবে বছরব্যাপী উপযোগী কর্মসূচি পালন ও গ্রন্থ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল যথাসময়ে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে আটটি সাংগঠনিক বিভাগের জন্য আটটি টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টিমগুলো তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় সম্মেলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে তদারকি করবে।
সভাপতিমণ্ডলীর সভায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ সংগঠনের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন না তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর প্রতিবেদন তৈরি ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দেয়া হয়।