মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হাত-পা বাধা স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের পান্নার বাড়ি থেকে উত্তম চন্দ্র বর্মণ তুফান (৭০) ও কাজলী রানি দাস (৫৫) মরদেহ করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা জানালার গ্রীল কেটে দালানঘরে প্রবেশ করে তাদেরকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের শিকার উত্তম চন্দ্র বর্মণ তুফান স্থানীয় রায়চোঁ (নোয়াহাট) বাজারের মাছ বিক্রেতা। তিনি উত্তর বড়কুল গ্রামের দাস বাড়ির মৃত হর্মণ চন্দ্র বর্ধনের ছেলে।
মেয়ে রিনা রানি বর্মণ জানান, গত আট-দশ বছর যাবৎ দুলাল সাহার কাজকর্ম করে আসছেন বাবা ও মা। দুলাল চন্দ্র নারায়নগঞ্জ বসবাস করায় গত ২ বছর দুলাল সাহার দালানঘর পাহারা দেন এবং ওই ঘরেই থাকেন বাবা-মা। আজ সকালে বাবা-মায়ের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়িতে আসি।
তিনি বলেন, শুনেছি পাশের বাড়ির সবিতা রানি সাহা পূজার জন্য ফুল নিতে আসেন। এ সময় তিনি দরজা খোলা দেখে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে খাটের উপর বাবা-মায়ের হাত-পা বাধা মরদেহ দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা দুইবোন স্বামীর বাড়িতেই থাকি। ভাই না থাকায় বাবা মাছ বিক্রি এবং মা টুকটাক মানুষের কাজকর্ম করে কোনমতে চলেন (জীবিকা নির্বাহ করেন)। পাশাপাশি বাবা-মা দুলাল সাহার বাড়িঘর পাহারা দেন, বাতি জ্বালান, পূজা দেন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে রিনা রানী বর্মণ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কোন শত্রু নেই। জানিনা, কে বা কারা বাবা-মাকে মেরে ফেলেছে, আমরা তার বিচার চাই।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে'র নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ, চাঁদপুর থেকে পুলিশর বিশেষ শাখা পিবিআই, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ ও লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ এবং পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com