গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া (দঃ) ইউনিয়ন পরিষদে তালা দিয়েছে উপজেলা যুবলীগের সদস্য শেখ মোদাচ্ছের হোসেন অপু। ১২ অক্টোবর মঙ্গলবারে এ ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র রক্ষার্থে গ্রাম পুলিশ দিয়ে পাহারায় রাখা হয়েছে তালা দেয়া সেই পরিষদটি।
সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হতে পারে এমন ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাধিক লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটা সত্যি যে, চেয়ারম্যান সাহেব পরিষদের ব্যাপারে উদাসীন এবং ইউনিয়নবাসী কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্মার্ট কার্ড বিতরণ, পত্যায়নপত্রসহ বিভিন্ন সনদ বিতরণে সরকারের বেঁধে ফ্রি কয়েকগুন নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও ওই ইউনিয়নের কড়ৈতুলী বাবুরদীঘিরপাড়,ইছাপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের সকল কর্মকান্ড চলছে দেদারছে।
ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষে তালা মারার বিষয়টি শিকার করে ওই যুবলীগনেতা শেখ মোদাচ্ছের হোসেন অপু বলেন,চেয়ারম্যান ঠিকমত অফিস করে না, বিভিন্ন কাগজে সই করতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়না। স্থানীয়রাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তাই তালা মেরেছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী বিএসসি’র নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি নিতান্তই দলীয় ব্যাপার, আমি যোগাযোগ করছি বিষয়টি মিমাংশার জন্য।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সিদ্দিক মীর জানান, আনুমানিক দুপুর দেড়টায় যুবলীগ নেতা পরিষদে এসে চেয়ারম্যান মহোদয়কে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান মহোদয় এবং আমার কক্ষে তালা মেরে দেয়। দ্বায়িত্বের খাতিরে আমি উপজেলা সদরে গিয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করি এবং ওনার নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদের মুল্যবান জিনিসপত্রের নিরাপত্তার জন্য গ্রাম পুলিশ দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করি। অবশ্য সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ চেয়ারম্যান সাহেবের সাতে সমোঝতার ভিত্তিতে তালা খুলে দেয় যুবলীগ নেতা শেখ মোদাচ্ছের হোসেন অপু।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি বলেন, আমি তালা মারার বিষয়টি জেনে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডিডিএলজি স্যারকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com