গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জের সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইমো প্রতারক চক্র। সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ ইমোর মাধ্যমে চলে এই প্রতারণা। ইমো ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট প্রতারকচক্রের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আঁড়ি পেতে মানুষের হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্রগুলো। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ, আত্মসম্মান হারিয়ে আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী নজর দাবী করছে স্থানীয় সচেতন মহল।
উপজেলায় বিভিন্ন মানুষের ব্যবহাহৃত ইমো হ্যাক করে প্রতারক চক্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভুক্তভোগীর ইমো একাউন্ট থেকে তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে অশ্লিল ছবি-ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানিসহ ভুক্তভোগীদের শুভাকাখাঙ্খীদের কাছথেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্রগুলো।
ভুক্তভোগীদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে রফিকুল ইসলামের ইমো হ্যাক করে, তার স্বজনদের কাছথেকে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করে আসছে প্রতারক চক্র। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিচার দাবী করছেন তিনি।
ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সের শাহাজাহান মিজির ব্যবহৃত ইমো অ্যাপস্ টি গত ২৭ সেপ্টম্বরে হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায় প্রতারক চক্র। পরবর্তিতে তার বিপদের কথা বলে শাহাজান মিজির শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করে আসছে। এঘটনায় শাহজাহান মিজি ফরিদগঞ্জ থানায় ২৯ সেপ্টম্বরে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং (১৮৬৯)। সাধারণ ডায়েরী করারপর থেকে শাহাজাহান মিজির মেয়ের বান্ধবীদের কাছে হ্যাকিং এর শিকার ইমো একাউন্ট থেকে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ছবি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহাজাহান মিজি। বিষয়নিয়ে তিনি লজ্জিত হয়ে দুঃশ্চিন্তায় ভুগছেন।বর্তমানে মান সম্মানের ভয়ে সমাজে বসকারী এ মানুষটি আতঙ্কে রয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, এমন অভিযোগ পেলে আমাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি সেল্প ঢাকায় পাঠিয়ে দেই, মনিটরিংয়ের জন্য।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com