গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে স্বর্ণের চেইন চুরির অপবাদ দিয়ে এক নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হামলার শিকার নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও কয়েকজন আহত হন। আধুনিক যুগে মধ্যযুগীয় কায়দায় এমন হামলার সঠিক তদন্ত ও বিচার প্রার্থনা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ও বিচারদাবী স্থানীয় সচেতন মহলের। গুরুতর আহতবস্থায় চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ভুক্তভোগী তাসলিমা বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার ১৫ নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের রুস্তুমপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ঘটনার ৪মাস পূর্বে একইবাড়ীর বাসিন্দা মোস্তফা মিয়ার ছেলে কাউসার আলমের নব-বিবাহিতা স্ত্রীর গলার আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন হারিয়ে যায়। সপ্তাহ খানেকপর হারিয়ে যাওয়া চেইনটি কাউছারদের বসতঘরের সামনে নারিকেলের খোসার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। এই চেইনটি হারিয়ে যাওয়াকে চুরি হিসেবে গণ্যকরে একই বাড়ির স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় তাসলিমা বেগমকে বিভিন্ন হয়রানী করে আসছে অভিযুক্ত কাউছার গংরা।
ওই ঘটনার জের ধরেই কাউছার আলমের ছোট দুই ভাই ইয়াসিন ও মোফাচ্ছের ও তাদের মা শামছুন্নাহারের সহায়তায় চেইন হারানো-উদ্ধারের ৪ মাসপর তাসলিমাকে চেইন চুরির অপবাদদিয়ে তাদেরর বসতঘর থেকে টেনে এনে প্রকাশ্যে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। এঘটনাটি স্থানীয় একজন ভিডিও ধারন করে সৌশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুকে) প্রচার করে। বিষয়টি সচেতন মহলের নজরে আসলে ঘটনার ৩দিনের মাথায় থানায় লিখিত বিচার প্রার্থনা করে আবেদন করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তাসলিমা বেগম জানান, বিনা কারণেই ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির উঠোনে তারা আমার ওপর হামলা চালায়। আমি চুরির কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি চুরি করিনি। এমন পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভোগীর সদস্যরা ও স্থানীয় সচেতন মহল।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত কাউছারের স্ত্রী তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনটি ভুলবসত হারিয়ে যাওয়া, চেইনটি যেখানে পাওয়া যায়, সেখানে বসে তিনি ডাব খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা কথা বলার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই মেয়েটি তাদের বাসায় কেন যাওয়া আসা করেন,এমন একটি মন্তব্য রহস্যজনক মনে হচ্ছে!
ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক তদন্ত মো. বাহার মিয়া জানান, এঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি এজহার দায়েরকরা হয়েছে রবিবার বিকেলে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com