গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক মহাড়কে যাতায়াতকারি যানবাহন থেকে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত চাঁদপুর সেতুতে টোল আদায় চলছেই। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিই কথা দিয়েছিলেন এই সেতুর টোল আদায় বন্ধ হবে । কেউ কথা রাখেনি! ভুক্তোভুগী জনগণ আশায় বুক বেধেছিলো অচিরেই এই সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে টোল আদায় বন্ধ হবে। কিন্তু তা না করে আবারও চাঁদপুর সেতু থেকে ২০২১-২০২৪ অর্থ বছরে টোল আদায়ের লক্ষ্যে ইজারা দিয়েছেন সড়ক বিভাগ। আগামী তিন বছরের জন্য সেতুটির ইজারা দেওয়া হয়েছে ৮ কোটি ৮ লক্ষ টাকা।
অবশেষে গত মঙ্গলাবার ১৬ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের মাসিক সমন্বয় সভায় টোল বন্ধের বিষয়টি জোরালো ভাবে তুলে আনেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খাঁন মজলিস। এ খবর সোশ্যাল মিডিয়া পেয়ে মুহুর্তে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুষের মনে আনন্দ বিরাজ করতে দেখা যায়।সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে জেলা প্রশাসকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন ফরিদগঞ্জের গণমানুষ তথা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীর উপর একই মাপের তিনটি সেতুর মধ্যে দুটির টোল আদায় বন্ধ হয়েছে। শুধু বন্ধ হয়নি ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের চাঁদপুর অংশে অবস্থিত চাঁদপুর সেতুর টোল আদায়। জনগণের অভিযোগ টোল আদায়ের ক্ষেত্রে সওজ দৈত নীতি অবলম্বন করেছে। এই সেতুর টোল আদায় বন্ধে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ উর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গকে স্বারকলিপি প্রদানসহ অনুনয় বিনয় করা হলেও টোল আদায় বন্ধ হয়নি। ভুক্তোভোগী জনগণ বাধ্য হয়ে সড়কে মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, বিক্ষোভ সমাবেশ করলে ও সরকার টোল আদায় বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ। এছাড়াও জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এসেতুর টোল আদায় বন্ধের বিষয়ে বিভিন্ন দাবী জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
কিন্তু গত ১৬ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের মাসিক সমন্বয় সভায় টোল বন্ধের দাবি কথা তুলেন জেলা প্রশাসক নিজেই। এতে করে অভিনন্দনের ও শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে জেলা প্রশাসকে অভিনন্দন জানিয়ে তারেক রহমান তারু লিখেন, আবারও একজন নারীর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা। ওনার আপ্রান চেষ্টায় নিন্ধান্তটি বাস্তবায়ন হলো। বাকিটা সময়ের দাবি।
কামাল হোসেন আজাদ ফেসবুকে লিখেন, চাঁদপুর সেতুর টোল বাতিলের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ায় জেলা প্রশাসকে অভিনন্দন।
ফরিদগঞ্জে সোশ্যাল মিডিয়া ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে আনন্দের অনূভূতি প্রকাশ করতেদেখা যায়।
এ বিষয়ে সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, টোলের বিষয়ে গত মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক বিষয়টি উপস্থাপন করেন। আমরা বলেছি সওজ বিভাগে সচিব ও মন্ত্রী মহদয়ের কে চিঠি দেওয়ার জন্য। তারা যদি কোন সিন্ধান্ত নেয় আমরা বস্তবায়ন করবো।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খাঁন মজলিস বলেন, আমি এইখানে আসার পর থেকে বিভিন্ন সংগঠন চাঁদুপর সেতুর টোল বন্ধের বিষয়ে দাবি করেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও পত্রিকায় অনেক নিউজ লিখেছেন বিষয়টি নিয়ে। আমি এই জেলায় যোগদান করার পূর্বে সওজ বিভাগে ছিলাম। সেই খানে সচিব মহোদয়ের সাথে ভালো পরিচয় রয়েছে। আমি সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি তিনি বলেছেন আমাকে স্থানীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে তার সুপারিশ কৃত চিঠি দেওয়ার জন্য, তাই বিষয়টি আমি মিটিং উপস্থান করেছি। আমি আশা করি জনগনের এই দাবি বাস্তবায়নে কতৃপক্ষ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com