মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে মাসের শুরুতেই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে একটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ ও নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। কৃষি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অপরাধে মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) বিকালে উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তিনি।
জরিমানাপ্রাপ্ত ড্রেজার ব্যবসায়ী হলেন, ওই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৪২)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে কৃষি জমি ধ্বংস করে আসছেন বলে স্থানীয় ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। একই অভিযোগে গত মাসে (জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৯টি ড্রেজার মেশিন জব্দ ও পৃথক পৃথকভাবে নগদ মোট সাড়ে ৬ লাখ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে কৃষি জমি ধ্বংস করার অপরাধে এদিন (মঙ্গলবার) সকালে পাতানিশ গ্রামের ড্রেজার ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৫ (১) ও ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ডেজ্রার মেশিনটি জব্দ করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার। এ সময় ড্রেজারের পাইপগুলো ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে জনসচেতনতার লক্ষ্যে উপস্থিত লোকজন ও এলাকাবাসীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধারা (বিধিমালা) এবং ড্রেজারের ক্ষতিকর দিকগুলো উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের সহযোগিতায় জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন এবং মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ওই ইউনিয়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৪ মামলায় ৪জনকে পৃথক পৃথকভাবে নগদ মোট ৮০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার। এ সময় তিনি মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্য বিধি এবং লকডাউনের বিধি-নিষেধ মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করেন।