গাজী মমিন,ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে প্রশাসনের দায়িত্বপালন শেষে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন পৌরসভার ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত (মহিলা) আসনের কাউন্সিলর কুসুম বেগম ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বিচারপ্রার্থী হয়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৪জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাউন্সিলর কুসুম বেগম। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পুলিশ প্রাশসন।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কেরোয়া গ্রামের পুরাতন পাটওয়ারী বাড়ী সংলগ্ন সফিউল্লাহ’র দোকানের সামনে রাস্তার উপর ১১ জুন শুক্রবার বিকেল ৪ ঘটিকার সময় এঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, কেরোয়া গ্রামে একটি বাল্যবিবাহ সম্পাদন হচ্ছে এই মর্মে জরুরী সেবা বাংলাদেশ পুলিশের অধিনে পরিচালিত জরুরী কল সেন্টার ৯৯৯ এ কলদিয়ে এক কিশোরী মেয়ের মা অভিযোগ করে বলেন, তার কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দিচ্ছে মেয়ের মামার নের্তৃত্বে একটি চক্র। অভিযোগ আমলে নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) এর নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমী) শারমিন আক্তারসহ থানা ওসির নির্দেশে একদল পুলিশ পৌর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সলর আবুল হাসেম ও মহিলা কাউন্সলর কুসুম বেগমকে সাথে নিয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে প্রবেশ করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেন উপজেলা প্রশাসন।
ওই কিশোরী মেয়েটিকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসময় ঘটনার শিকার কিশোরী মেয়েটি অচেতন হয়েগেলে প্রশাসনের নির্দেশে কিশোরী মেয়েটিকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে ওই মেয়েকে প্রশাসনের নির্দেশে তার মায়ের হেফাজতে দিয়ে বাড়িতে গেলে স্থানীয় অভিযুক্ত শহীদ উল্লাহ সাহেদ(৪২), হেলাল উদ্দিন পাটওয়ারী(৫০), নুর আলম (৩২) ও ইমাম হোসেন পাটওয়ারী (২৮) গং এর নের্তৃত্বে মহিলা কাউন্সলর কুসুম বেগমসহ তার স্বামীর ওপর হামলা করা হয় বলে থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এসময় ওই মহিলা কাউন্সিলর ও তার স্বামী মারাত্বক ভাবে যখম প্রাপ্ত হয়েছেন অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলার শিকার কাউন্সিলর কুসুম বেগম প্রতিনিধিকে জানান, আমার নির্বাচনী এলাকায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদ দিয়ে ইউএনও স্যার আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনার স্থানে নিয়ে যায়, পরবর্তিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করার সময় মেয়েটি অসুস্থ হয়েগেলে ইউএনও স্যার আমাকে ও আমার সাথে কাউন্সিলর আবুল হাসেমকে দায়িত্ব দিয়ে মেয়েটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। মেয়েটি সুস্থ্য হলে আমি ইউএনও স্যারকে জানালে ইউএনও স্যার বলেন, মেয়েটিকে তার মায়ের হেফাজতে দিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা মেয়েটিকে তার মায়ের হেফাজতে দিয়ে বাড়িতে গেলে ওই মেয়েটি পুনরায় বিয়ে দিবে বল্লে আমি বলি আপনার আইনকে অবমাননা করলে আমি ইউএনও স্যার জানাবো। এ কথা বল্লে তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে পিটিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল হাসেম বলেন, ইউএনও স্যার কলদিলে আমরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সহায়তা করি। এরপর কাউন্সিলর কুসুম বেগম বাড়ীতে গেলে তার ওপর হামলা করেছে অভিযুক্তরা।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শহীদ উল্লাহ সাহেদ সাথে কথা তিনি জানান, আমার ভাগ্নির একটি বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ এসেছে। তবে কাউন্সলরের ওপর বাড়ির পাশে একটি রাস্থায় হামলা হয়েছে আমি লোক শুনেছি। এবিষয়ে আর কোন কথা তিনি বলতে রাজী হয়নি।
এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কাউন্সলর, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com