• সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

হাজীগঞ্জ থেকে আত্মসাতকৃত ১১লাখ টাকাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

আপডেটঃ : শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে গ্রামীনফোন ও নগদ ডিস্টিবিউটরের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই এর হাতে আটক হলেন, ক্যাশ ইনচার্জ ও কম্পিউটার অপারেটর সাগর কুমার দত্ত (৩৭)। এসময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী স্বপ্ন রাণী ভৌমিককে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১১জুন) তাদেরকে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের জিয়া নগর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের দু’জনের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সাগর কুমার দত্তের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী স্বপ্ন রাণী ভৌমিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাও এলাকায়। পিবিআই’র প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাগর কুমার দত্ত জানিয়েছে, তার দ্বিতীয় স্ত্রী স্বপ্না রাণীর প্ররোচনায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাত করে বলে জানায়।
অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, হাজীগঞ্জের আলীগঞ্জে গ্রামীন ফোন ও নগদ ডিস্ট্রিবিউটর মেসার্স ফরিদ আহমেদের ক্যাশ ইনচার্জ এবং কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে সাগর কুমার দত্ত কর্মরত ছিল। সে সুবাদে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন তার মাধ্যমেই করা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ মে দুপুরে সেলস অফিসার আবুল কালাম ও হৃদয় চন্দ্র দাশের সহায়তায় নগদ ৬ লাখ টাকা একাউন্টে জমা দেয়ার জন্য এবং ১৯ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য চেক দিয়ে ব্যাংকে পাঠানো হয়।
তবে আবুল কালাম ও হৃদয় চন্দ্রকে ব্যাংকের নিচে দাঁড় করিয়ে রেখে টাকা লেনদেনের জন্য ব্যাংকে যান সাগর কুমার দত্ত। এরপর ২৫ লাখ টাকা নিয়ে তিনি উধাও হয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে টাকা নিয়ে অফিসে না আসায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সোয়েব আক্তার ব্যাংকে গিয়ে এর সত্যতা জানতে পারেন। পরে সোয়েব বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করলে এর তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই-এর এসআই আমিরুল ইসলাম মীরকে।
চাঁদপুর পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুনায়েত কাউছার জানান, পিবিআই ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশনায় ১১জুন পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান ও তদন্তকারী অফিসার এসআই আমিরুল ইসলাম মীরের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন জিয়ানগর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় একটি ভাড়া বাসা থেকে মামলার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী সাগর কুমার দত্ত ও স্বপ্না রাণী ভৌমিককে গ্রেফতার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বপ্না ভৌমিক তার হেফাজতে থাকা ৭ লাখ টাকা এবং সাগর কুমার দত্তের হেফাজতে থাকা ৪ লাখ টাকা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট প্রদান করে। এ সময় সাগর কুমার দত্ত জানায়, স্বপ্না ভৌমিক তার দ্বিতীয় স্ত্রী। সে স্বপ্না ভৌমিকের প্ররোচনায় ওই টাকা আত্মসাৎ করে। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদ ও অবশিষ্ট ১৪ লাখ টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…