গাজী মমিন,ফরিদগঞ্জ:
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বড়ালী গ্রামের বিবদমান সম্পত্তির উপর পাকা ভবন নির্মান করে জোরপূর্বক দখল নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কয়েকদিন যাবৎ ১০-১২ জন শ্রমিকের অংশগ্রহনে দিন রাত কাজ চলমান রেখে বিরোধকৃত সম্পত্তিটির উপর পাকা ভবনের নির্মান কাজ করে দখলে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়েও কোন প্রতিকার করতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ১৪২নং বড়ালী মৌজার বিএস ৮৩৯নং খতিয়ান ভুক্ত হাল বিএস ২৪৯৮ দাগে মোঃ০.০৯ একর ভুমির আন্দরে মোঃ ০৩৮২ একর ও একই মৌজা এবং খতিয়ানের ভুক্ত হাল বিএস ২৪৯৯ দাগে মোঃ০.০৫ একর ভুমির আন্দরে মোঃ ০১৭৭ একর ভুমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ওই সম্পত্তির দাবিদার আব্দুল মতির গাজী চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নালিশী সম্পত্তি নিয়ে একটি মোকদ্দমা করলে চলতি বছরের ০৭ মার্চ আদালত ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার আকৃতি পরিবর্তন না করা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য ফরিদগঞ্জ থানার ওসিকে আদেশ দেন।
১০-১২দিন পর পর অভিযুক্ত মোস্তফা ও সুমন গংরা মিলে কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে নালিশী সম্পত্তির উপর বিল্ডিং নির্মান করতে দেখা যায়। সেখানে টিনের বেড়াও দেয়া রয়েছে।
অভিযুক্ত মোস্তফা দাবী করে বলেন, তিনি ২০০২ সালে অভিযোগ কারীর ভাই শাহজাহান গাজীর কাছথেকে ক্রয় করেছেন। জোর করে তিনি কারো সম্পত্তি দখল করেননি, তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বিল্ডিং এর কাজ করেন। তিনি আরো বলেন,২০০৩ সাল থেকেই আমাদের এখানে আমরা টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে টিনসেড ঘর নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। এসম্পত্তির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলতে রাজি হন নি।
আদালতে বিচার প্রার্থী আব্দুল মতিন গাজী বলেন, উল্লেখিত ভুমি আমার পৈত্রিক ও খরিদ সম্পত্তি আমার ভাই শাহজাহান গাজীসহ জোর করে দখলে নিয়ে তারা বিল্ডিং বাড়ির কাজ ও হুমকি দিলে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ৭ই মার্চ আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির ১০-১২দিন পরে মোস্তফা গংরা লোকবল নিয়ে কাজ করলে আমি পুলিশকে জানালে পুলিশ বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তিতে তারা এখন আবার দিন-রাত অনেক লোক বল নিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তির উপর ইমারত নির্মান করে আসছে। তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তরা যখন কাজ করে থখন আমরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা আমাদের দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমাদের পৈত্রিক ও খরিদকৃত সম্পত্তি রক্ষার্থে প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, ওই সম্পত্তি নিয়ে দুইপক্ষের বিবাদের বিষয়টি তার নজরে আছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মানের অভিযোগ পেয়ে তিনি কয়েক বার পুলিশ পাঠিয়েছেন। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনিপ্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com