কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার সাজিরপাড় গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সাজিরপাড় গ্রামস্থ নতুন বাড়িতে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হচ্ছেন, গৃহকর্তা জহির হোসেন (৪২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৩৫) ও ছেলে জাহিদ হোসেন (১৮)। আহতরা বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর হামলার শিকার জহির হোসেন বাদী হয়ে ৯জনকে অভিযুক্ত করে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদীর লিখিত অবিযোগ ও স্থানীয় এলাকা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে একই বাড়ির প্রতিবেশী লিয়াকত আলী গংরা প্রভাব খাটিয়ে বাদীর সীমানায় এসে জোরপূর্বক বিভিন্ন ফলজ গাছ উপড়ে ফেলে নষ্ট করে। এতে বাধা দিলে প্রতিপক্ষ লোকজন উত্তেজিত হয়ে জহির হোসেনের উপর একই বাড়ির লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে জামাল হোসেন,রাহিম,রাজিব,সজীব,শাহিন,আশর্^াদ,আপন বেগম,লিপি বেগমসহ ১০/১২জন উশৃঙ্খল লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে অন্যায় ভাবে হামলা করে। এতে তার স্ত্রী আমেনা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রতিপক্ষের লোকজন বর্তমানে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে বাদীর পরিবার দাবি করছেন।
বাদী আরো বলেন, আসামীরা আমার ছেলেকে হামলার পর পরিকল্পিত ভাবে রাতে পাশ^বর্তী বিলে নিয়ে ভূট্টা ক্ষেতে গলাটিপে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলায় আহতদের মধ্যে জাহিদ হাসানের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সদর (জেনারল) সরকারি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন।
সাচার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com