কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সৈয়দপুর (রাজহাঁসকান্দি) গ্রামে প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় অভিমান করে বিষপানে মাসুদুর রহমান (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তবে সে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে মারধরের কারনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এ নিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জন চলছে। গত শনিবার রাতে সে বিষপান করলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কচুয়া থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। তিনি জানান, যুবকের গায়ে মারধরের কোন চিহ্ন নেই। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে বিষপান করেছে। রির্পোট আসলে তা বুঝা যাবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, যুবক মাসুদুর রহমান পাশ্ববর্তী বাড়ীর আব্দুল ছাত্তারের এক যুবতীকে পছন্দ করে ১২দিন পূর্বে কুমিল্লায় নিয়ে বিয়ে করে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। পরে মেয়ের বাবা আব্দুর সাত্তার পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তার মেয়েকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। প্রেমিক মাসুদ গরীবের সন্তান হওয়ায় মেয়ের বাবা ও ভাই এ বিয়ে মেনে নেননি।
ছেলের মা হাসিনা বেগম ও বড় ভাই আহাদ মিয়া বলেন, যুবক মাসুদ কে শনিবার মেয়ের বাবা ও ভাই এর নির্দেশে স্থানীয় কিছু লোক মারধর করেন। তবে সে অভিমানে বিষ পান করেছে নাকি অন্য কিছু, তা বলতে পারেনি। তবে ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার চেয়েছেন, মাসুদের মা হাসিনা বেগম ও বড় ভাই আহাদ মিয়া। মেয়ের বাবা আব্দুর সাত্তার ও বড় ভাই মো. মনির হোসেন নিহত মাসুদকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন, মাসুদের আচার- আচরন ভালো ছিলো না।
ওই যুবতী বলেন, আমাকে কয়েকদিন পূর্বে জোর করে মাসুদ প্রথমে ঢাকা পরে কুমিল্লায় নিয়েছেন এবং জোর পূর্বক কাবিনে সই করিয়েছেন। এখন আমি আমার বাবার ঘরে রয়েছি।
কচুয়া থানা ওসি মো. ওয়ালী উল্যাহ অলি জানান, যুবক মাসুদ কী কারনে বিষপান করেছে, তার কারন জানা নাই। তবে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে চাঁদপুর প্রেরন করা হয়েছে।