মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
চলতি বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে হাজীগঞ্জে তিনটি মাদরাসা শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করেছে। এ বছর উপজেলার ২৩টি বিদ্যালয় থেকে ১০৪৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮৬৮ জন। পাশের হার শতকরা ৮২.৯০। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলার ২৩টি মাদরসার মধ্যে ১০টি মাদরাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হাজীগঞ্জ আহমাদীয়া কামিল মাদরাসা থেকে সবচে বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সবাই কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন পরীক্ষার্থী।
এর পরেই রয়েছে নওহাটা ফাজিল মাদরাসা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৮১ জন অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮১ জন। পাশের হার শতকরা ৯৬.৪৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন পরীক্ষার্থী। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাপাইকাপ আলিম মাদরাসা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সবাই কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন পরীক্ষার্থী এবং ছালেহ আবাদ এম.এন ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৪ জন। পাশের হার শতকরা ৮৯.৮০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন পরীক্ষার্থী।
রাজারগাঁও ফাজিল মাদরাসা থেকে ৬৪ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৫৭ জন। পাশের হার শতকরা ৮৯.০৬। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন পরীক্ষার্থী। নেছারাবাদ ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪২ জন। পাশের হার শতকরা ৯১.৩০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন পরীক্ষার্থী। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪৪ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৪ জন। পাশের হার শতকরা ৭৭.২৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন পরীক্ষার্থী।
বাকিলা ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪২ জন। পাশের হার শতকরা ৮৯.৩৬। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন পরীক্ষার্থী। বলাখাল এম.এন আলিম মাদরাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২২ জন। পাশের হার শতকরা ৭৩.৩৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন পরীক্ষার্থী। আলী আহমাদ ইসলামীয়া একাডেমি থেকে ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সবাই কৃতকার্য হয়েছে।
এ ছাড়াও রামচন্দ্রপুর ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৯ জন। পাশের হার শতকরা ৬৭.৪৪। সুহিলপুর এ.বি.এস ফাজিল মাদরাসা থেকে ৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৮ জন। পাশের হার শতকরা ৯০.৫৭। হাজেরা আলী ক্যাডেট মাদরাসা থেকে ৩২ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৭ জন। পাশের হার শতকরা ৮৪.৩৮।
বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল মাদরাসা থেকে ৭৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৪ জন। পাশের হার শতকরা ৫৭.১৪। দেশগাঁও দারুস সালাম ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৩ জন। পাশের হার শতকরা ৬৩.৮৯। রাজাপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৫ জন। পাশের হার শতকরা ৮১.৪০।
মদিনাতুল উলুম ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৯ জন। পাশের হার শতকরা ৭৬.৩২। মাদরাসায়ে আবেদীয়া মোজাদ্দেদীয়া থেকে ৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৫৮ জন। পাশের হার শতকরা ৮৯.২৩। ডাটরা-শিবপুর আজিকিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৬ জন। পাশের হার শতকরা ৭৬.৪৭। উচ্চগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৫ জন। পাশের হার শতকরা ৭১.৪৩।
রাজাপুর ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৯ জন। পাশের হার শতকরা ৮৫.২৯। মকবুল আহমেদ ইছমাঈলিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩১ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৮ জন। পাশের হার শতকরা ৯০.৩২। কাকৈরতলা ইসলামীয়া আলিম মাদরাসা থেকে ৪৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৬ জন। পাশের হার শতকরা ৫৫.৩২।