• বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন

ফরিদগঞ্জে সমাজ সেবক সুমনের প্রচেস্টায় সড়কের দেখা পেলো কয়েকশ পরিবার

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

গাজী মমিন :
সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য কিছু মানুষ সারা জীবন পরোপকারী হিসেবে কাজ করে যান। এ সমাজে এখনও কিছু মানুষ আছেন যারা নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে সমাজের মানুষকে নিয়ে কাজ করেন। এলাকার জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে থাকতে ভালোবাসেন। উন্নয়ন প্রিয় সেই গুলোর মধ্যে একজন হলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং রুপসা ইউপির নজরুল ইসলাম সুমন।

 

তরুণ সমাজ সেবক জনদরদী এ মানুষটি এলাকার অসহায়,দুস্থ মানুষের কল্যাণে নিজের চিন্তা চেতনা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। নিজ গ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি ১৫ নং রুপসা ইউপির উন্নয়নের সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে ১৫ নং রুপসা ইউপির বিভিন্ন গ্রামে দেখা যাচ্ছে গ্রাম্য অঞ্চলের কয়েকটি সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত সুমন। এবং বদিউজ্জামালপুর ইইতে কুতুবপুর এর পাশ দিয়ে জুবা কবিরাজের বাড়ীর আঙ্গিনায় বাঁশের সাকো পর্যন্ত ৬ ফুট চওড়া প্রায় আটশত মিটারের একটি কাচা সড়ক সম্পন্ন নিজস্ব অর্থায়নে করেছেন তিনি।

 

এই সড়ক পেয়ে এলাকাবাসী জানান, আমাদের এলাকাতে কয়েকশ পরিবার এখন শীতকালে জমির আইল দিয়ে হাটা-চলা করে কোন রকমে চলতে পারি। কিন্তু বর্ষাকাল হলে আমাদের চলা-ফেরা করতে অনেক কস্ট হয়। এবং জমিনের আইল দিয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠশালাতে যায়। সুমন ভাইয়ের এই মহতি উদ্যোগের কারনে এখন আর আমাদের কস্ট হবে না। আমরা চাই সুমন ভাইয়ের মত প্রত্যেক গ্রামে যেন যুব সমাজ এ ভাবে মানুষের উন্নয়ন মূলক কাজ করে। এবিষয়ে নজরুল ইসলাম সুমন এ প্রতিনিধিকে জানান, শীতকাল হলে যখন জমীনের পানি শুকিয়ে যায়, তখন মানুষ পায়ে হেটে কোন রকম চলা-ফেরা করতে পারে। বর্ষাকালে এই জমিনের আইল দিয়ে হেটে চলা এক বারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।

 

আমি দেখেছি এই জমিনের আইলে চলতে গিয়ে তরুণ-বৃদ্ধা ও কমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে। তাই আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এই সড়কটির কাজ সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে এ সড়ক যে স্থানে গিয়ে শেষ হয়েছে যুবা কবিরাজের বাড়ির আঙ্গিনায় ঐখানে একটি খাল রয়েছে এই খালে একটি ব্রিজ হলে সরদার কান্ডির সুবিদা বঞ্চিত কমলমতি শিশুরা পড়ালেখার সুযোগ পাবে বলে আমি মনে করি। এক প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন, এলাকার দরিদ্র,পীড়িত, অসহায় মানুষের সেবাই তার প্রধান লক্ষ্য আর এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান কল্পে নিরলসভাবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খদমত করে যাবো। এবং মানুষের পাশে থাকবো।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…