• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

কচুয়ায় রোপা আমনে টুংরো রোগ ॥ দিশেহারা কৃষক

আপডেটঃ : শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০

ছবি মানব খবর : কচুয়ার একটি মাঠে টুংরো রোগে আক্রান্ত রোপা আমন ধান গাছ।

জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া ॥
কচুয়ায় রোপা আমন ধান গাছ লাল হয়ে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের মতে এ রোগটি টুংরো নামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এ রোগের নাম টুংরো ভাইরাস। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মাঠে এ টুংরো রোগের আক্রমন দেখা যাচ্ছে। দিনের পর দিন এ রোগের মাত্রা বেড়েই চলছে। এছাড়াও বেড়ে চলছে ইঁদুরের উপদ্রবও। কচি ধান গাছ খেয়ে ইঁদুর সাবাড় করে দিচ্ছে। এমনি অবস্থায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে উঠেছে।
বুরগী গ্রামের কৃষক হোসাইন মিয়া জানান, অতি কষ্ট করে নিজের ৩৮ শতাংশ এবং বর্গা ২৪ শতাংশ জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করি। কিন্তু কি যেন এক রোগে ধান গাছ দিনের পর দিন লালছে হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন, টুংরো রোগের আক্রমন ও ইঁদুরের উপদ্রবের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, টুংরো রোগ প্রতিরোধে বীজ তলায় কীটনাশক ওষুধ ছিটানোই হচ্ছে উত্তম পন্থা। রোপা লাগানোর পর যে মাঠে এ রোগ দেখা দেবে ওই মাঠের সকল কৃষককে একযোগে কীটনাশক ওষুধ ছিটাতে হবে। এছাড়া যে মাঠে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেবে ওই মাঠের কৃষকদেরকেও একযোগে ইঁদুর মারার (র‌্যাড কিলার) কীটনাশক ওষুধ ছিটিয়ে দিতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, টুংরো রোগ দমনে পটাশ সারসহ নিবসীম, মফসিন, টিডু, মার্শাল, ডারসবান, প্লেনাম এসব কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। সাত দিন পর পর (২ থেকে ৩ দফা) উক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা লাগবে। এসব নিয়ম পালন করার জন্য মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা ।

 


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…