• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৭ অপরাহ্ন

কচুয়ার তেতৈয়া উবিতে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা !

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

কচুয়া: কচুয়ার তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।

কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন গঠনে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কমিটি বাতিলের দাবী জানিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন সভাপতি প্রত্যাশী ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা কামাল ও ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু ইউসুফ মজুমদার। তারা এ বিষয়ে পৃথক ভাবে ২৮ জুন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ শে জুন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্ধারনের জন্য নির্বাচনের দিন ধার্য করেন। এতে উপস্থিত সভাপতি পদে প্রার্থীদের কোন মতামত না নিয়েই দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বিদ্যালয় ত্যাগ করেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
লিখিত অভিযোগকারী ৬নং উত্তর কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদেরকে অফিস কক্ষে বসিয়ে রেখে ২ মিনেটের মাথায় স্থান ত্যাগ করেন। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ও প্রিজাংডিং কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তারের যোগসাজেশে ‘ফ্যামিলি প্যাকেজ’ কমিটি ঘোষনা দেন শুনেছি। আমি এ কমিটি বাতিল করে পুনরায় নতুন করে সভা আহবান করে বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে সভাপতি পদে কমিটি গঠনের আহবান জানাই।
অপর অভিযোগকারী উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আবু ইউসুফ মজুমদার বলেন, আমিসহ সভাপতি পদে মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, মো. মোস্তফা কামাল মেম্বার, দাতা সদস্য আলহাজ¦ এম.এ মানসুর আহমেদ মোল্লা,মো. শাহজাহান সিরাজসহ ৫ জন প্রার্থী ছিলাম কিন্তু আমাদের কারো মতামত না নিয়ে মনগড়া ‘ফ্যামিলি প্যাকেজ’ কমিটি করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরো জানান, পূর্বে অভিভাবক সদস্য করার সময়েও এলাকার কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি এবং বর্তমানে সভাপতি পদেও নির্বাচনের সময় প্রতিষ্ঠাতাদের পরিবারের কাউকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিুল ইসলাম পাটওয়ারীর বক্তব্য জানতে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
কচুয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মো. কামাল হোসেন অন্তর বলেন, আমি দু’টি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত সভাপতি। কিন্তু তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো এমন নির্বাচন আমার জীবনেও দেখিনি। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দু’মিনিটে স্থান ত্যাগ করায় আমি হতভাগ হয়েছি।
এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা জানান, একজনের বাহিরে আর কোন বিকল্প প্রস্তাব পাওয়া যায়নি। আমি যথাযথ বিধি মোতাবেক সকল সদস্যের উপস্থিতির ভিত্তিতে সভাপতি পদে নাম ঘোষনা দিয়েছি। তবে প্রার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোন অনিয়ম কিংবা স্বজনপ্রীতি হয়নি। অন্য একটি শ্রের্নী কক্ষে সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন কল্পে আলোচনা হয়। তাই করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি থাকায় বিদ্যালয়ের অফিসে সাধারন মানুষের ভীড় থাকায় আমি বিদ্যালয়ের অফিসে যাইনি।

 


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…