• শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

হাজীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ

আপডেটঃ : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার সময় জোরপূর্বক অপহরণ করে আটকিয়ে রেখে ৩ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে।

যার মামলা নং০৫। মামলায় আসামীরা হলো বখাটে সাখাওয়াত হোসেন (২০), তার বড় ভাই মীর হোসেন (২৬) ও তাদের পিতা মো. আবদুল লতিফ।

মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৮) ওই ছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের পূর্ব ফরাজী বাড়ীর আবদুল লতিফের ছেলে বখাটে সাখাওয়াত শিক্ষার্থীকে প্রেম নিবেদন করতে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিতো।

বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে জানালে, পরিবারের পক্ষ থেকে বখাটে সাখাওয়াতের পরিবারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করা হয়। তার পরেও সাখাওয়াত ক্ষ্যান্ত হয়নি।

গত ২৯ জুলাই (সোমবার) দুপরে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে সাখাওয়াতসহ কয়েকজন ওই ছাত্রীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে সিএনজিতে করে অপহরণ করে। পরবর্তী ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে সে বুঝতে পারে একটি বহুতল ভবনের বন্ধ ঘরে সে আছে। সাখাওয়াত অপহরণ করে তাকে চট্রগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে।

১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ভোর ৪টায় ওই নির্যাতিত ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় তাদের গ্রামের বাড়ীর সম্মুখে এনে ফেলে দিয়ে যায়। বাড়ীর লোকজনের শোর-চিৎকারে তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে সে পরিবারের সকলকে ঘটনাটি খুলে বলে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগির হোসেন রনি জানান, এ ঘটনায় ৩জনকে আসামী করে নির্যাতিত ছাত্রীর বড় ভাই মামলা দায়ের করেছে। ভিকটিমকে মেডিকেল করানোর জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…