• বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

হাজীগঞ্জ পৌর মেয়রের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য

আপডেটঃ : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহ সর্ব শক্তিমান
সম্মানিত সুধী ও উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম / আদাব ঃ

ধর্ম যার যার , রাষ্ট্র সবার।

৪ঠা জুলাই ২০১৯ খ্রীঃ, ২০ আষাঢ় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, রোজ- বৃহস্পতি বার।
আষাঢ়ের বর্ষণমূখর এই দিনে আজকের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত পৌর পরিষদের সন্মানিত কাউন্সিলরগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, আমার প্রিয় কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ ও সুধিমন্ডলী, আপনাদের সবাইকে জানাই হাজীগঞ্জ পৌর পরিষদ ও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ হতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
বর্তমান পৌর পরিষদের কার্যক্রম মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে এবং আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ও সমর্থনে উন্নয়ন এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছে, তার’ই ধারাবাহিকতায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান পরিষদের চতুর্থ (৪র্থ) বাজেট হিসেবে আপনাদের সামনে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা উপলক্ষ্যে আজকের এই আয়োজন…

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
হাজীগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। যা আজ থেকে প্রায় ৩৪ বছর পূর্বে। বর্তমানে সারা দেশের ৩২৮ টি পৌরসভার মধ্যে আমাদের এই হাজীগঞ্জ পৌরসভা প্রথম সারির একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে যার সুনাম রয়েছে। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় পৌরসভাকে সমৃদ্ধ করতে অনেক গুনীজন এবং আমার পূর্বসূরী মেয়র, প্রশাসক ও চেয়ারম্যানগণ অনেক শ্রম ও মেধা প্রদান করেছেন। আজকের এই ক্ষনে আমি সেই সকল গুনীজন ও আমার পূর্বসূরী মেয়র, প্রশাসক ও চেয়ারম্যানগণ’দের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বিগত ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০১৬ খ্রীঃ তারিখে আমি, পৌর পরিষদের সকল কাউন্সিলরদেরকে নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহনের পর সন্মানিত পৌরবাসি ও আপনাদের সহযোগীতায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার সার্বিক কর্মকান্ডে নতুন সৃষ্টিশীল ও ইতিবাচক ধারা প্রবর্তনের মাধ্যমে পৌরবাসিকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান নিশ্চিত করতঃ পৌরসভার সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পেরেছি, এজন্য আমি হাজীগঞ্জ পৌরবাসি ও আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।

সন্মানিত উপস্থিতি,
হাজীগঞ্জ পৌর পরিষদ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী। তাই বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও শহরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে প্রাক-বাজেট মতবিনিময় ও পরামর্শ করেছি এবং আগামী অর্থবছরের বাজেট যাতে গণমুখী, জনকল্যানকর ও বাস্তবসম্মত হয় সে ব্যাপারে আমরা টাউন লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির (টিএলসিসি’র) সদস্যবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করি এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া বাজেট প্রস্তুত করেছি।

সকলের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত, খসড়া/প্রস্তাবিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট, বিগত ৩০/০৬/২০১৯ খ্রীঃ তারিখের বাজেট বিশেষ সভা ও পৌর পরিষদের সাধারন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়েছে, যা হাজীগঞ্জ পৌরসভার আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট হিসেবে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য প্রেরন করা হবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ ও সুধীজন,
শুরু থেকেই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতঅর্থে জনগনকে সেবা দেয়া। সে লক্ষ্যে আমি পৌর পরিষদের সদস্য ও পৌরবাসির মতামতের প্রেক্ষিতে পৌরসভার কার্যক্রমকে ঢেলে সাজিয়েছি। মেয়র হিসেবে শুধু চেয়ার দখল নয় আপনাদের তথা পৌরবাসির সেবক হিসেবে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। নানা সীমাবদ্ধতা ও বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন, পৌরবাসি এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমি নিন্দুকদের ধন্যবাদ দেই, কারন তাদের সমলোচনা আমার কাজের অনুপ্রেরনা। আমার অফিস এবং বাসার দরজা আমার সন্মানিত পৌরবাসির যে কোন প্রয়োজনে খোলা থাকবে, পৌরবাসি সবসময় তাদের যে কোন প্রয়োজনে কাছে পাবে এটা ছিল আমার অঙ্গীকার। আমি আমার অঙ্গীকার ভুলিনি, পৌরবাসি তাদের ব্যক্তিগত বা এলাকার উন্নয়ন কিংবা যে কোন প্রয়োজনে আমাকে সর্বদা আন্তরিকতার সাথে পাশে পেয়েছে মর্মে আমি বিশ্বাস করি।
প্রিয় কলম সৈনিক বন্ধুগণ আপনারা হলেন সমাজের বিবেক, আমি বিশ্বাস করি মহান রাব্বুল আলামিন সহায় থাকলে, আপনাদের তথা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সহযোগীতা অব্যাহত থাকলে এবং হাজীগঞ্জবাসীর দোয়া ও আর্শিবাদ থাকলে আমাকে জনগন ও জনগনের সেবা নিশ্চিত করা থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা,
আপনারা জানেন ইলিশের বাড়ী খ্যাত ব্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরের ৮টি উপজেলার মধ্যে, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকা চাঁদপুর জেলার অন্যতম ব্যাবসায়ীক প্রানকেন্দ্র। পৌরসভাকে কেন্দ্র করে আধুনিক নগরায়নের ক্রমবর্ধমান প্রসারের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নানাবিধ সমস্যা যার মধ্যে অন্যতম পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা ও জলাবদ্ধতা। সব দিক বিবেচনা করে নতুন বাজেটে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার, স্বাস্থ্য ও পয়ঃপ্রণালী খাত (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) এবং প্রচার (উদ্ধুদ্ধকরন) খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান সমাজের অন্যতম সামাজিক সমস্যা মাদকের প্রসার রোধকল্পে যুব সমাজকে শিক্ষা ও সংস্কৃতিমনা করতে এ বাজেটে শিক্ষা ও সাংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। খেলাধুলা ও ক্রীড়াখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকার কর্তৃক ঘোষীত কোরবানীর পশু জবাই ও ব্যাবস্থাপনা খাতেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এস.ডি.জি’র অন্যতম অভিষ্ট টেকসই উন্নয়ন এবং জেন্ডার সমতা ও সার্বিক উন্নয়নের জন্যও পর্যাপ্ত বরাদ্ধ রাখা হয়েছে।

আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও জনগনের কল্যাণে ব্যতিক্রমধর্মী নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহনের পরিকল্পনা আমি গ্রহন করেছি, এবং এ সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে বরাদ্দও রাখা হয়েছে । ব্যতিক্রমী কর্মসূচীসমূহের মধ্যে রয়েছে ঃ

¤ শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা আমরা গ্রহন করেছি (স্থান/জায়গা প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে)।
¤ সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি তথা বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী।
¤ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান।
¤ অসহায়, দুঃস্থ এবং অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরন বিতরন ও সহায়তা প্রদান।
¤ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান।
¤ “স্বাধীনতা চত্ত্বর” নামক ভাষ্কর্য নির্মান (বিশ^ রোড চৌরাস্তায় বর্তমানে কাজ চলমান)।
¤ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানো ইত্যাদি।

এসকল খাত ছাড়াও হাজীগঞ্জ পৌরসভার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে আরো যে সমস্ত বিষয় গুরুত্বের সাথে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে, সে খাতগুলো হলোঃ

 ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিন পাড় তথা রান্ধুনীমূড়া সহ ঐপাড়ের ৩টি ওয়ার্ডে সুপেয় পানির ব্যবস্থ্যা করন সহ নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
 শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন।
 নতুন সড়ক বাতি লাইন স্থাপন ও সম্প্রসারন।
 পৌর এলাকার মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন।
 সুপেয় পানির যোগান ও পানির লাইন সম্প্রসারন।
 বন্যা, ঘুর্ণিঝড় ও অগ্নিকান্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে আপদকালীন সাহায্য প্রদান ইত্যাদি।
 যুব সমাজের সামাজিক অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন ক্রীড়া খাতে প্রতিবারের ন্যায় এ বাজেটেও বরাদ্ধ রেখেছি।

¤ প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ ও সুধীজন,

বিগত (২০১৮-১৯) অর্থ বছরে পৌর এলাকায় আমাদের উল্লেখযোগ্য ভৌত আবকাঠামোগত উন্নয়ন সমূহঃ

উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের(এডিপি) আওতায় মোট ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে, ১৭টি প্যাকেজে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৩১ টি রাস্তা ও ড্রেন নির্মান কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ (চার) বছরে ১৪ (চৌদ্দ) কোটি টাকা পাওয়া যাবে, তার মধ্যে ১ম বছরে আমরা উন্নয়ন খাতে প্রায় ০৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৬ টি রাস্তা ও ০৫ টি ড্রেন নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ডের আওতায় উন্নয়ন খাতে ২.০০ কোটি টাকার ০৩ টি ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প প্রায় সমাপ্তির পথে।

রাজস্ব তহবিলের আওতায় প্রায় ৬০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৯ টি রাস্তা ও ড্রেন নির্মান কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপেয় পানির সংস্থান নিশ্চিত করতে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ প্রায় ৯০% সম্পন্ন হয়েছে। এবং প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ কিলোমিটার পানির পাইপ লাইন স্থাপন কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় হাজীগঞ্জ পৌরসভায় প্রায় ২.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ টি টেষ্ট টিউবওয়েল স্থাপন, ১টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন, ১ টি পাম্প হাউজ নির্মান, ১৫ টি গভীর হস্থ চালিত নলকূপ স্থাপন, বিভিন্ন ব্যাসের ৮ কিঃমিঃ পাইপ লাইন স্থাপন, ০১ টি পাবলিক টয়েলেট নির্মান এবং ৫০ কেভিএ ট্রান্সফরমার ও সাব স্টেশনসহ এইচটি বৈদ্যুতিক লাইন নির্মান প্রকল্পের কাজ চলমান।

¤ সন্মানিত উপস্থিতি,

আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, গুরুত্বপূর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ (চার) বছরে ১৪ (চৌদ্দ) কোটি টাকা পাওয়া যাবে তন্মধ্যে (২য় বছরের বরাদ্ধ হিসেবে) এই বাজেটে আমরা উন্নয়ন খাতে উল্লেখিত প্রকল্প হতে সম্ভাব্য প্রায় ১০ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রেখেছি। উক্ত প্রকল্পের অগ্রাধিকার তালিকা প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে প্রেরনের জন্য প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভলপমেন্ট ফান্ড (ইগউঋ) প্রকল্পের অধীন প্রায় ০৪ (চার) কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার লক্ষ্যে এই বাজেটে আমরা বরাদ্ধ রেখেছি। প্রকল্প অফিসে তালিকা প্রেরন করা হয়েছে, আশা ও বিশ্বাস অচিরেই উক্ত বরাদ্দ মঞ্জুরী পাওয়া যাবে।

এ ছাড়াও আগামি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে হাজীগঞ্জ পৌরসভা ইউজিআইআইপি (নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প) প্রকল্পের পেইজ-৪ এ অর্ন্তভূক্ত হওয়ার সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে এবং পৌরবাসীর কল্যাণে উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা সম্ভব হবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। প্রয়োজন শুধু আপনাদের দোয়া ও সর্বাত্মক সহযোগীতা।

মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করে বিশেষ উন্নয়ন বরাদ্ধ মঞ্জুরি সহ পৌরসভার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও যানবাহন বরাদ্ধ করানোর ক্ষেত্রে আমার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

এ ছাড়াও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কতৃক প্রতিশ্রুত চার (০৪ টি) জেলা উন্নয়ন প্রকল্পে আমাদের ইলিশের বাড়ী খ্যাত ব্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরও অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। উল্লেখিত প্রকল্পের কাজ শুরু হলে এ জেলার অন্যতম উপজেলা ও পৌরসভা হিসেবে সার্বিক উন্নয়ন খাতে (হাজীগঞ্জে) ব্যাপক বরাদ্ধ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 উপস্থিত সাংবাদিক বন্ধুগণ ও সুধীজন,

আমি প্রতিনিয়ত হাজীগঞ্জ পৌরসভার কর্মকান্ডকে পৌরবাসির আরোও কাছাকাছি নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছি। পৌর এলাকায় যারা হতদরিদ্র পরিবার, তাদের সন্তানদের শিক্ষা সহায়তা, দরিদ্র অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা ইত্যাদি প্রতিনিয়ত করে আসছি। আর্ত মানবতার সেবায় হাজীগঞ্জ পৌরসভা যাতে একটি অনুসরনীয় পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে প্রচেষ্ঠা আমার রয়েছে।

আমি আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম লিপন আপনাদের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে আপনাদের সেবায় নিজেকে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি ছূটেছি পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে। বাস্তবায়ন করেছি আপনাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের রাস্তাঘাট সহ নানাবিধ অবকাঠামোগত উন্নয়ন। দিয়েছি সেবা, পেয়েছি আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া। ভবিষ্যতেও আপনাদের এই ভালোবাসা ও দোয়া অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশাই রাখছি আপনাদের কাছে।

# প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা ও উপস্থিত সুধীজন,
মহান আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানী এবং আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতায় আমি আমার পরিষদের সদস্য তথা কাউন্সিলরগণ এবং পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকে নিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নের সার্বিক লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। হাজীগঞ্জ পৌরসভার কর্মকান্ডে আপনারা যেভাবে উৎসাহ যুুগিয়ে যাচ্ছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আপনারা পৌরসভার কাজকে জনস্বার্থ বিবেচনা করে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সে জন্য মেয়র হিসেবে আপনাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। ভবিষ্যতে আমরা সকলে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে হাজীগঞ্জ পৌরসভাকে একটি আধুনিক, সুন্দর ও বাসযোগ্য পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো-ইনশাআল্লাহ।

সন্মানিত উপস্থিতি,
আমি হাজীগঞ্জ পৌর পরিষদ ও পৌরসভার সকল পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মূল্যবান পরামর্শের ভিত্তিতে প্রণীত, আগামী বছরের বাজেট নতুনভাবে কোন করারোপ ছাড়াই ঘোষণা করলাম। এবার আমি হাজীগঞ্জ পৌরসভার আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সার সংক্ষেপ আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করছিঃ

আয় ব্যয়
নিজস্ব খাতে সর্বমোট আয় ২০,৮৬,৯৬,২৫০/- নিজস্ব খাতে সর্বমোট ব্যয় ১৯,৯৪,৭৫,০০০/-
উন্নয়ন খাতে সর্বমোট আয় ৩৭,৯১,৬৩,৫০০/- উন্নয়ন খাতে সর্বমোট ব্যয় ৩৪,৫৭,৪০,০০০/-
মোট আয় ৫৮,৭৮,৫৯,৭৫০/- মোট ব্যয় ৫৪,৫২,১৫,০০০/-

সর্বমোট উদ্ধৃত্ত ঃ- ৪,২৬,৪৪,৭৫০ /- টাকা।

পরিশেষে, সকল ব্যস্ততার মাঝেও আজকের এই সাংবাদিক ও সুধি সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ ও হাজীগঞ্জের সুধীজনকে আমি, আমার পরিষদ ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন।

ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন
মেয়র
হাজীগঞ্জ পৌরসভা।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…