• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

হাজীগঞ্জে কিশোরী অন্ত:সত্ত্বার ঘটনায় ইউপি সদস্য’সহ গ্রেপ্তার-তিন

আপডেটঃ : শনিবার, ১১ মে, ২০১৯

হাবিবুর রহমান হাবিব ॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কিশোরী অন্ত:সত্ত্বারঘটনায় ইউপি সদস্য’সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ  ।

শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে  গ্রেপ্তার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম (৬০) এবং একই ওয়ার্ডের ডাটরা-শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ীর ওরফে চকিদার বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে এমরান হোসেন (১৯) ও একই বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরেফিন ওরফে আমিনুল (২০)।

ঘটনাটি  উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ী ও ওরফে চকিদার বাড়িতে। এ ঘটনায় মামলার অপর আসামি ওই বাড়ির ইসমাঈলে ছেলে রাব্বি (১৮), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মেরাজ (২০) ও মৃত ছেরাজল হকের ছেলে সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকম (৬৫) পলাতক রয়েছেন।

এর আগে অন্ত:সত্ত্বা কিশোরী বাদী হয়ে শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন।

জানা গেছে, চার যুবকের ধর্ষণে ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম ও সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকম ঘটনার ধামাচাপা দিতে চার ধর্ষকের মধ্যে কিশোরী পছন্দ অনুযায়ী এক ধর্ষকের সাথে বিয়ে ঠিক করেন।

এর আগে চার ধর্ষকের কাছ থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে কিশোরীর ব্যাংক একাউন্টে রাখেন ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম ও সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকম। আজ শনিবার কিশোরীর পছন্দের পাত্র ধর্ষক রাব্বির সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।

ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর কিশোরীর পাশে এগিয়ে আসে পুলিশ। শুক্রবার রাতে যুবতি বাদি হয়ে চার ধর্ষক ও ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম, সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকমসহ ৬ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানা একটি মামলা দায়ের করেন। এবং এ দিন রাতেই ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম ও ধর্ষক এমরান হোসেন ও আরফিন আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

থানা হেফাজতে থাকা ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতা কিশোরীকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সে এবং তার পরিবারের লোকজন রাজী হয়নি। তাই এলাকার সালিশদারদের সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের (ধর্ষিতা, ধর্ষক এবং তাদের পরিবার) সাথে বসে এবং মেয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাব্বির সাথে বিয়ে ঠিক করি।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের কাছ থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করি এবং মেয়ের (কিশোরীর) নামে ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখি।

থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, মামলার ৬ আসামির মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি বলেন, ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে ইউপি সদস্য ও সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকমকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…