• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

শাহরাস্তির ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে কটূক্তির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত, ঘটনা ধামাচাপা দিতে অধ্যক্ষের বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯

শাহরাস্তি প্রতিবেদক:

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক শিক্ষিকাকে কটুক্তি করার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপরে ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন ও অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে। বিকেলে একই দাবিতে তারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করে। জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাজেরা আক্তারকে অশালীণ ভাষা ব্যবহার করায় শিক্ষার্থী-অভিবাবকরা অধ্যক্ষের শাস্তি ও অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ এবং ঘন্টাকাল তাকে অবরুদ্ধ করে।

এ ঘটনা নিয়ে (১১ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কমিটির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের অনুপস্থিতির কারণে উক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মাঝে পুনরায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন বিকেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে স্থানিয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য সফি আহাম্মেদ মিন্টু, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মমিন ফারুকী, স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য মফিজুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষিকা হাজেরা বেগম সকলের উদেশ্যে বলেন, ইতোপূর্বে অধ্যক্ষ এ ধরণের ঘটনা বহুবার ঘটিয়েছেন। কিন্ত কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

তিনি সভাপতির দোহাই দিয়ে সময় পার করছেন। তাকে আর সময় দেয়া যায় না। আমি আইনি ভাবে মোকাবেলা করবো। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান সফি আহমেদ মিন্টু বলেন, আমি এ এলাকার সন্তান, মাদ্রাসাটি নানা ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের বুকের উপর দাঁড়িয়ে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহু শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ আমরা লজ্জিত। বর্তমান অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন এতিম শিশুদের কুরবানির গোশত, মাছ চুরি করে বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধে ছোট ছোট শিশুদের প্রহার, মেয়ে শিক্ষার্থী ও মহিলা শিক্ষিকাদের মৌখিক ভাবে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

যা নিয়ে বহুবার স্থানীয় শালিস দরবার হয়েছে। ওই সকল দরবারে অধ্যক্ষ প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পরও তার অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এহেন কার্যকলাপের কারণে তাকে উন্মাদ বলে আখ্যায়িত করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাজেরা বেগম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উম্মে হাবীবা মীরার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। সহকারী কমিশনার তাকে জানান, উক্ত বিষয়ে যে কোন আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…