• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

মেজর রফিকুল ইসলাম এমপির উদ্যোগে শামসুন্নাহার পেল বাড়ী

আপডেটঃ : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি : হাজীগঞ্জে আশ্রয় নেয়া করতোয়া নদীতে সব হারানো শামসুন্নাহার বেগম অবশেষে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করার মতো একটি বাড়ী পেয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের ৪’বারের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ূয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ‘জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় তাকে একটি ঘরসহ পুরিপূর্ণ বাড়ী করেদেন। বাড়ীটি করতে তদারকী করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়া।

শনিবার বিকেলে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দীন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সি মোহাম্মদ মনির’সহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ওই বাড়ীটি দেখতে যান।

সংসদ সদস্যের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্ধকৃত ঘর থেকে শামুসুন্নাহারকে একটি ঘর করে দেন। স্থানীয় আসাদুজ্জামান মজুমদার ঘর করার জন্য শামসুন্নাহারকে ভূমি দান করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. মাসুদ ইকবাল ও যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল শামসুন্নাহারের হাতে বাড়ীর মালিকানা দলিল হস্তান্তর করেন।

এর আগে গত কয়েকমাস পূর্বে “পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে শামসুন্নাহার” শিরোনামে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির দৃষ্টিগোচর হলে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়াকে শামসুন্নাহারকে একটি মাথাগুজার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, শামসুন্নাহারের স্বামীর বাড়ী নীলফামারী জেলার করতোয়া নদীর তীরে ছিল। এক সময় তার সবই ছিল। গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, ছিল অনেক কৃষি জমি। ভয়াল করতোয়া তাদের সব কেড়ে নেয়।

পরবর্তীতে তিনি ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন পিতৃভূমির দেশ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। বসতি গড়েন হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় এক ঝুঁপড়ি ঘরে। বর্ষাকালে সাতার কেটে যেতে হতো রাস্তায়। তার স্কুল পড়ূয়া ছেলে মেয়েও একটি ড্রেস নিয়ে সাতার কেটে খাল পেরিয়ে পরবর্তীতে আরেকটি ড্রেস পড়ে যেতো হতো স্কুলে। শামসুন্নাহারের স্বামী মোজাম্মেল রিক্সা চালান চটগ্রামে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…